বগুড়ায় বাউল গানের আসর বৈশাখী সাধুমেলা অনুষ্ঠিত
স্টাফ রিপোর্টার
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষে বগুড়ায় বাউল গানের আসর বৈশাখী সাধুমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বগুড়া জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ও জেলা শিল্পকলা একামেডির ব্যবস্থাপনায় শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শহীদ খোকন পার্কে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
জেলা কালচারাল অফিসার মোঃ মাহমুদুল হাসান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) পি. এম. ইমরুল কায়েস। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বাউল গান বাংলার ঐতিহ্যবাহী লোকায়ত সংগীতের একটি অনন্য ধারা। এটি বাউল সম্প্রদায়ের নিজস্ব সাধনগীত। আবহমান বাংলার প্রকৃতি, মাটি আর মানুষের জীবন জিজ্ঞাসা একাত্ম হয়ে ফুটে ওঠে বাউল গানে।
তিনি আরো বলেন, বাউলের মুল ধর্মই হচ্ছে মানবতা। এই মানবতাকেই তিনি ধারণ করেছেন। ধারন ও লালন করার মধ্য দিয়েই তিনি ধর্মটাকে প্রচার করেছেন। আমরা পরবর্তীতে দেখেছি কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার যে গানগুলো সেগুলো লিখিত আকারে ছিল না। তিনি সেগুলো লিখিত আকারে প্রকাশ করেছেন।
পি. এম. ইমরুল কায়েস বলেন, নিজ দেহের মধ্যে ঈশ্বরকে পাওয়ার তীব্র ব্যাকুলতা থেকে বাউল ধারার সৃষ্টি। বাউল সাধকদের সাধনার মাধ্যম হচ্ছে গান। সাধকের কাছে সাধন-ভজনের গূঢ়তত্ত¡ প্রকাশ পায় গানের মাধ্যমেই। প্রত্যেক মানুষের অন্তরে যে পরম সুন্দর ঈশ্বরের উপস্থিতি, সেই অদেখাকে দেখা আর অধরাকে ধরাই বাউল সাধন-ভজনের উদ্দেশ্য। শহরে, গ্রামে ক্রমেই জনপ্রিয় হচ্ছে বাউলসংগীত। এই বাউল গানকে আমরা প্রচার এবং প্রসার করতে চাই। কারণ এটি ঐতিহ্যের একটি অংশ। এই ঐতিহ্যকে লালন এবং ধারণ করতে চাই। সেই সাথে সরাবিশে^ এর প্রসার ঘটাতে চাই। এই বগুড়া আমাদের পুণ্য ভূমি। এখানে অনেক সুফি, দরবেশ শায়িত রয়েছেন। এই সুফি দরবেশদের মাধ্যমে এখানে ধর্ম প্রচার হয়েছে।
অনুষ্ঠানে জনপ্রিয় বাউল শিল্পি সুকুমার বাউলসহ ২০জন বাউল শিল্পি বাউল গান পরিবেশন করেন।