জুলাইয়ে বিমান উড়বে বগুড়ায়!

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫ ১৮:০৩ ।
বিশেষ
পঠিত হয়েছে ৯০ বার।

দেশের বিভিন্ন জেলায় পরিত্যক্ত হয়ে থাকা সাতটি বিমানবন্দরের কার্যক্রম দ্রুত চালু করতে যাচ্ছে সরকার। দেড় থেকে দুই বছরের মধ্যে এগুলো চালু করার চেষ্টা সরকারের। এর ফলে সড়ক ও রেলপথে চাপ কমার পাশাপাশি পর্যটন খাতসহ অর্থনীতি চাঙা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ—বেবিচক সূত্র বলছে, আগামী জুলাই মাসের মধ্যে বগুড়া বিমানবন্দরের কার্যক্রম শুরু হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে বাকি বিমানবন্দরগুলো সচল করা হবে।

 


এর মধ্যে রয়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের পর অতি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠা ঈশ্বরদী, অর্থনীতির সম্ভাবনাময় ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, পর্যটন অঞ্চল মৌলভীবাজারের শমসেরনগর, ঐতিহ্যবাহী কুমিল্লা ও রাজধানীর তেজগাঁও বিমানবন্দর।


দেশে দ্রুত শিল্পায়ন, ব্যবসার প্রসারসহ পর্যটন খাতের বিকাশে পাকিস্তান আমলে সচল থাকা অথচ বর্তমানে পরিত্যক্ত বিমানবন্দরগুলোর কার্যক্রম ফের শুরু হলে বদলে যেতে পারে পর্যটনসহ অর্থনীতির চাকা— এমনটাই মনে করছে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের মানুষ।

জানা গেছে, এসব বিমানবন্দর সংস্কারে ব্যয় নিরূপণসহ অন্যান্য বিষয়ে প্রতিবেদন তৈরি করে ইতিমধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের উচ্চপর্যায়ে পাঠানো হয়েছে। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরেই অন্তত তিনটি বিমানবন্দরের কার্যক্রম শুরু করবে বেবিচক। পরিত্যক্ত এসব বিমানবন্দর চালুর পাশাপাশি ফ্লাইট বাড়ানোরও পরিকল্পনা রয়েছে।

 


এ ব্যাপারে বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া গণমাধ্যমকে বলেন, পরিত্যক্ত বিমানবন্দরগুলো পর্যায়ক্রমে সচল করা হবে। তবে অবকাঠামো নির্মাণ, সংস্কার ও আনুষঙ্গিক প্রস্তুতি যেখানে আগে শেষ হবে, সেগুলো আগে সচল হবে। সবার আগে চালু হবে বগুড়া বিমানবন্দর। আসছে জুনে সব প্রস্তুতি শেষ হলেই সেখানে বিমান চলবে।

তিনি আরও বলেন, যদিও বাণিজ্যিকভাবে বিমান পরিচালনার জন্য কিছুটা সময় লাগবে। এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে বিমানবন্দরগুলো সচল হলে বাণিজ্যিকভাবে বিমান পরিচালনা করা যাবে।

পরিত্যক্ত বিমানবন্দরগুলো চালুর ব্যাপারে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ছাড়াও অন্য বিমান পরিচালনা সংস্থা ইউএস বাংলা, নভোএয়ার ও এয়ার এস্টার কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে বেবিচকের।

দেশের বিভিন্ন জেলায় ব্রিটিশ আমলে নির্মাণ হয় ২৮টি বিমানবন্দর। বর্তমানে রাজধানীর সঙ্গে আটটির বিমান চলাচল অব্যাহত রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটের সঙ্গে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তালিকায় নতুন করে যুক্ত হচ্ছে কক্সবাজার বিমানবন্দর। বাণিজ্যিকভাবে সচল বাকি চারটি অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর রয়েছে রাজশাহী, যশোর, সৈয়দপুর ও বরিশালে।



এসব সচল রুটের সঙ্গে আগামী এক-দেড় বছরের মধ্যেই যুক্ত হবে বগুড়া, ঈশ্বরদী, ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, কুমিল্লা, মৌলভীবাজারের শমসেরনগর ও রাজধানীর তেজগাঁও বিমানবন্দর।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পরিত্যক্ত সাতটি বিমানবন্দরে পর্যাপ্ত যাত্রী পাওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও বিমান ওঠানামার জন্য দরকারি অবকাঠামো নেই।

অ্যাভিয়েশনে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যাত্রীবাহী বিমান পরিচালনায় অনুপযুক্ত এসব রানওয়ে সচল ও কার্যকর করতে জরুরিভাবে অবকাঠামো উন্নয়ন ও সংস্কার প্রয়োজন। বাণিজ্যিকভাবে বিমান পরিচালনা করতে ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার ফুটের মধ্যে থাকা এসব রানওয়ে উন্নীত করে ৬ থেকে ৮ হাজার ফুটের মধ্যে আনতে হবে।