বগুড়ায় অতিরিক্ত টোল আদায়ের প্রতিবাদে কসাইখানায় মাংস বিক্রি বন্ধ

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় সরকারি হাটের ইজারাদারের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে মাংস ব্যবসায়ীরা কসাইখানায় গরু-ছাগল জবাই ও মাংস বিক্রি বন্ধ করেছেন। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সকালে উপজেলার মথুরাপুর হাট-বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

ইউএনও অফিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে উপজেলার মথুরাপুর হাট-বাজার ২৩ লাখ ৮৫ হাজার টাকায় বার্ষিক ইজারা বন্দোবস্ত নিয়েছে জাহাঙ্গীর আলম নামে এক ব্যবসায়ী। শুক্র ও সোমবার হাটসহ প্রতিদিন সকাল-বিকেল বাজার বসে। ওই হাট-বাজারের কসাইখানায় প্রতিদিন একটি দোকানে গড়ে ২টি গরু জবাই করে মাংস বিক্রি করে। সরকারি বিধিমোতাবেক প্রত্যেক মাংসের দোকান থেকে দৈনিক ৩০ টাকা করে টোল আদায়ের নিয়ম রয়েছে। কিন্ত ইজারাদার অতিরিক্ত টোল দাবি করায় ব্যবসায়ীরা বাজারের কসাইখানায় মাংস বিক্রি বন্ধ করেছেন।

উপজেলার মথুরাপুর হাট-বাজারের মাংস ব্যবসায়ী আজিবর রহমান বলেন, বাজারে প্রতিদিন গড়ে ২টি গরু জবাই করে মাংস বিক্রি করা হয়। পূর্বের ইজারাদারকে সপ্তাহে সাড়ে ৫ হাজার টাকা টোল দিয়েছি। আর বর্তমান ইজারাদার প্রতিটি গরু জবাইয়ের জন্য ১ হাজার টাকা করে টোল দাবি করছেন। সেই হিসেবে সপ্তাহে কমপক্ষে ১৪ হাজার টাকা টোল দিতে হবে। এ কারণে গরু-ছাগল জবাই ও মাংস বিক্রি বন্ধ করেছি।

এ বিষয়ে মথুরাপুর হাট-বাজারের ইজারাদার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কোন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে অতিরিক্ত টোল আদায় করা হয় না। তবে বাজারের কসাইখানায় মাংস ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চোরাই ও রোগাক্রান্ত গরু জবাই করে মাংস বিক্রি করে। মংসা ব্যবসায়ীদের সরকারি নিয়ম মেনে পাকা ক্রয় রশিদ দেখিয়ে সুস্থ্য গরু জবাই করে মাংস বিক্রি করতে বলা হয়েছে। এ কারণে তারা মাংস বিক্রি বন্ধ করেছে।

ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খৃষ্টফার হিমেল রিছিল বলেন, এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।