বগুড়ায় উচ্চস্বরে সালাম দেয়ায় মাদরাসার অধ্যক্ষসহ ৩ জনকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৫ ২৩:৩৭ ।
প্রধান খবর
পঠিত হয়েছে ৭৩ বার।

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় উচ্চস্বরে সালাম দেয়াকে কেন্দ্র করে এক মাদরাসা অধ্যক্ষসহ তিনজনকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে সজল খান (৩৫) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। স্থানীয় জনতা অভিযুক্ত সজলকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে।

 

আহতরা হলেন- উপজেলার মাটিকোড়া আল-সালেহ লাইফ লাইন মাদরাসার অধ্যক্ষ মুফতি মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ (৪৭), ওই মাদরাসার শিক্ষার্থী আব্দুল মোমিন (২২) এবং স্থানীয় বাসিন্দা মনোয়ার হোসেন পলাশ (৪৩)। বর্তমানে তারা ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

 

শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় ধুনট থানা থেকে সজল খানকে আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সজল খান উপজেলার মাটিকোড়া গ্রামের মুজা খানের ছেলে। এর আগে বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) রাত প্রায় ৯টায় উপজেলার মাটিকোড়া আল-সালেহ লাইফ লাইন মাদরাসা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

 

মামলা সূত্রে জানা যায়, অধ্যক্ষ মুফতি মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ ও শিক্ষার্থী আব্দুল মোমিনের সঙ্গে বৃহস্পতিবার রাত প্রায় ৯টায় মাদরাসার পাশের রাস্তায় সজল খানের দেখা হয়। এ সময় মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ সজল খানকে সালাম দেন। তখন উচ্চস্বরে সালাম দেয়ার অভিযোগ তুলে অধ্যক্ষকে রামদা দিয়ে কোপাতে থাকে সজল খান। এ সময় সঙ্গে থাকা শিক্ষার্থী আব্দুল মোমিন অধ্যক্ষকে রক্ষার চেষ্টা করলে সজল খান ওই শিক্ষার্থীকেও কুপিয়ে আহত করে। পরে অধ্যক্ষ ও শিক্ষার্থীকে রক্ষার জন্য স্থানীয় মনোয়ার হোসেন পলাশ এগিয়ে আসলে তাকেও কুপিয়ে আহত করা হয়। এরপর তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে পৌঁছে সজল খানকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে রাতেই থানায় সোপর্দ করে। এ ঘটনায় মাটিকোড়া গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে মনোয়ার হোসেন পলাশ বাদি হয়ে সজল খানের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করে।

 

ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। ঘটনার সময় সজল খান যে ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করেছে সেটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।