বগুড়ায় জাল সনদে বিদ্যালয়ের সভাপতি হন যুবদল নেতা, পদত্যাগের পর বাতিলের সুপারিশ
স্টাফ রিপোর্টার
জাল সনদ জমা দিয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি মনোনীত হয়েছিলেন বগুড়ার গাবতলীর যুবদল নেতা মহব্বত আলী। তবে সনদ জাল প্রমাণিত হওয়ায় জেলা শিক্ষা অফিস তার সভাপতি পদের মনোনয়ন বাতিলের সুপারিশ করেছে। এর আগেই ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন তিনি।
জানা গেছে, গত ২৪ মার্চ রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের মাধ্যমে নশিপুর ইউনিয়নের মাজবাড়ী দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি পদে মনোনীত হন গাবতলী উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মহব্বত আলী। এরপর তার স্নাতক (সম্মান) সনদ নিয়ে অভিযোগ করেন স্থানীয় ছাত্রদল নেতা মাসুদ রানা।
অভিযোগের পর জেলা শিক্ষা অফিস ইউসেট (ইউনিভার্সিটি অব স্কিল অ্যান্ড টেকনোলজি), নারায়ণগঞ্জে সনদ যাচাইয়ের জন্য চিঠি পাঠায়। ২৪ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, মহব্বত আলীর নামে পাঠানো সনদটির কোনো রেকর্ড তারা খুঁজে পায়নি—এটি জাল।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা শিক্ষা অফিসার রমজান আলী আকন্দ বলেন, “সনদ যাচাইয়ে জাল প্রমাণিত হওয়ায় মহব্বত আলীর সভাপতি পদের মনোনয়ন বাতিলের জন্য জেলা প্রশাসক ও শিক্ষা বোর্ডে সুপারিশ করেছি।”
তিনি আরও জানান, “২৪ এপ্রিল একজনের মাধ্যমে হোয়াটসঅ্যাপে মহব্বত আলীর পদত্যাগপত্র পেয়েছি।”
অভিযোগকারী ছাত্রদল নেতা মাসুদ রানা বলেন, “আমি নিজেও ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি প্রার্থী ছিলাম। জানতাম, মহব্বত আলী স্নাতক পাশ করেননি। তাই লিখিত অভিযোগ করি। এখন প্রমাণ হয়েছে, তার সনদ জাল। ৮ মে আমি আদালতে মামলা করেছি।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মহব্বত আলী বলেন, “সনদ জাল—এমন খবর আমার জানা নেই। তবে পারিবারিক কারণে ২৪ এপ্রিল আমি পদত্যাগ করেছি।”