বগুড়ায় যুব উন্নয়ন কর্মকর্তাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ১৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২২ মে ২০২৫ ১৮:৩১ ।
বগুড়ার খবর
পঠিত হয়েছে ১০১ বার।

বগুড়ার নন্দীগ্রামে যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আব্দুর রউফ, সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিল ও কুন্দরহাটের রাজু আহম্মেদ নামের এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে ১৪ লাখ টাকা আতœসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ২০মে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন হাঁটুয়া, আলাইপুর ও গুন্দইল গ্রামের ১৬০ জন ভুক্তভোগী। অভিযোগকারীরা সবাই হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ।  

 

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, যুব উন্নয়ন অফিস থেকে গরু মোটা তাজাকরণের জন্য প্রতি জনকে ১ লাখ টাকা করে ঋণ দেওয়ার কথা বলে উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা, সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ও স্থানীয় রাজু আহম্মেদ নামের এক ব্যাক্তি সঞ্চয় বাবদ ১৬০ জন সদস্যর কাছ থেকে ৬-৯ হাজার টাকা করে মোট ১৪ লাখ টাকা তুলেন। সঞ্চয়ের টাকা জমার নয় মাস অতিবাহিত হলেও ঋণ চাইলে কোন ঋণ দেওয়া হয় না। বিভিন্ন ভাবে তাদের বারবার সময় দেওয়া হয়। অবশেষে ওই সদস্যরা তাদের সঞ্চয়ের টাকা ফেরত চান। টাকা ফেরত না পেয়ে ভুক্তভোগীরা ২০মে ইউএনওর কাছে অভিযোগ দেন। তারা সঞ্চয়ের টাকা ফেরত পেতে ২১মে উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার অফিসের সামনে অবস্থান নেন। পরে থানা পুলিশ সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।

 

উপজেলার গুন্দইল গ্রামের ভুক্তভোগী সদস্য জুঁথি রানী বলেন, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা রাজুর কাছে সঞ্চয়ের টাকা জমা দিতে বলেছিল। তাই আমরা টাকা তুলে রাজুকে টাকা দিয়েছি। এখন আমরা ঋণ ও সঞ্চয়ের টাকা কোনটিই পাচ্ছিনা। আমরা ১৪ লাখ টাকা সঞ্চয় তুলে দিয়েছি। আমাদের টাকা ফেরত চাই।

 

এ বিষয়ে উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আব্দুর রউফ বলেন, ১৪ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগটি সম্পর্ন মিথ্যা। মনে হয় রাজু নামের ওই ব্যাক্তি অফিসের নাম ভাঙ্গিয়ে তাদের কাছে থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে। রাজুর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

 

জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লায়লা আঞ্জুমান বানু বলেন, ওই অভিযোগটি পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।