বগুড়ায় শ্বশুর-পুত্রবধূকে হত্যা: ডাকাত সর্দারসহ গ্রেপ্তার ৩

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০২৫ ১৬:৪৭ ।
প্রধান খবর
পঠিত হয়েছে ১৪৭ বার।

বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় শ্বশুর ও পুত্রবধুকে শ্বাসরোধে হত্যা এবং ৬ লাখ টাকা ও গয়না লুটের ঘটনায় তিন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।

 

গ্রেপ্তার হওয়া তিনজন হলেন—দুপচাঁচিয়ার বেরুঞ্জ গ্রামের আব্দুল হাকিম (৩৪), লক্ষীমন্ডপ গ্রামের আব্দুল মান্নান (৫০) ও আদমদিঘির বাসিকোড়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম (৪১)। হাকিম ডাকাত দলের সর্দার, তার বিরুদ্ধে সাতটির বেশি মামলা আছে।

 

মঙ্গলবার দুপুরে জেলা গোয়েন্দা বিভাগ কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) হোসাইন মুহাম্মদ রায়হান।

 

 গত ৮ জুলাই গভীর রাতে লক্ষীমন্ডপ গ্রামের বাড়িতে প্রবেশ করে ডাকাতরা। প্রথমে আফতাব উদ্দিন (৬৫) নামের বৃদ্ধকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে লাঠি দিয়ে মারধর করে শ্বাসরোধে হত্যা করে তারা। পরে পাশের ঘরে ঢুকে তাঁর পুত্রবধু রিভা খাতুনকে (২৭) একই কায়দায় খুন করা হয়।

 

এ সময় ঘরে থাকা শিশু রুকাইয়া তাসনিম মালিহা (৫) অলৌকিকভাবে বেঁচে যায়। ডাকাতরা তাকে চোখ বন্ধ করে রাখার হুমকি দেয়। এরপর ঘর থেকে স্বর্ণালংকার, দুটি মোবাইল ও নগদ ৬ লাখ ২০ হাজার টাকা লুট করে পালিয়ে যায় তারা।

 

 

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মুহাম্মদ রায়হান বলেন, আফতাব উদ্দিনের পুরোনো কর্মচারী আব্দুল মান্নান এই ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী। তিনি আগে আফতাবের সেচ পাম্পে কাজ করতেন। অসামাজিক কাজের কারণে তাকে বাদ দেওয়া হলে ক্ষোভ থেকে তিনি এই হত্যাকাণ্ড ও ডাকাতির ছক আঁটেন।

 

তথ্যপ্রযুক্তি ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে হাকিম ও মান্নানকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। পরে তাদের তথ্য অনুযায়ী কুড়িগ্রামের চর জামাল গ্রামে অভিযান চালিয়ে রফিকুলকে ধরা হয়।

 

গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে স্বর্ণের দুল, চুড়ি, আংটি, দুটি মোবাইল ফোন, একটি ঘড়ি ও নগদ ৭ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।

 

তিনি আরও জানান, তিনজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি পলাতকদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।