বগুড়ায় জোড়া হত্যাকাণ্ডের আসামিকে নিয়ে ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১৭ জুলাই ২০২৫ ২০:২৩ ।
বগুড়ার খবর
পঠিত হয়েছে ১১ বার।

বগুড়ায় বাড়িতে ঢুকে দাদি শাশুড়ি-নাতবউকে গলা কেটে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) দুপুরে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত সৈকতকে নিয়ে অভিযান চালিয়ে ইসলামপুর হরিগাড়ী এলাকায় পরিত্যাক্ত ডোবা থেকে চাকুটি উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে বৃহস্পতিবার ভোর চারটার দিকে শহরের খান্দার এলাকায় পাসপোর্ট অফিসের পাশে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।


গ্রেপ্তারকৃত সৈকত হাসান বগুড়া শহরের ইসলামপুর হরিগাড়ী এলাকার মো. সোহেল ইসলামের ছেলে। প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় এ হত্যাকাণ্ড বলে জানিয়েছে পুলিশ।


বগুড়া জেলা ডিবির ইনচার্জ ইকবাল বাহার জানান, হত্যাকাণ্ডের পরই পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে মাঠে নামে।

এর আগে গত বুধবার রাতে বগুড়া পৌরসভার ১৪ নং ওয়ার্ডের ইসলামপুর হরিগাড়ী এলাকায় নৃশংস এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহতরা হলেন- স্থানীয় মৃত আব্দুল কুদ্দুস বুলুর স্ত্রী লাইলী বেওয়া (৮৩) এবং পারভেজ ইসলামের স্ত্রী হাবিবা ইয়াসমিন (২১)। সম্পর্কে তারা দাদি শাশুড়ি ও নাতবউ। একই ঘটনায় আহত হন এসএসসি পাস করা বুলবুলের মেয়ে বন্যা (১৬)।

 

নিহতদের স্বজনরা জানায়, সৈকত দীর্ঘদিন ধরে বন্যাকে উত্যক্ত করত এবং বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল। পরিবার তা প্রত্যাখ্যান করে প্রতিবাদ জানালে সৈকত ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। বুধবার রাতে সৈকত ও তার সহযোগিরা থাকা ঘরে ঢুকে প্রথমে বন্যাকে মারধর করে এ সময় তাকে বাঁচাতে তার ভাবি ও দাদি এগিয়ে এলে তাদের ছুরিকাঘাত করে। এ সময় বন্যা বাঁধা দিতে গেলে তাকে পেটে ছুরিকাঘাত করা হয়। তার চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে আহতদের উদ্ধার করে শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক লাইলী বেওয়া ও হাবিবাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মুহাম্মদ রায়হান জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তার দেয়া তথ্যে ডোবা থেকে চাকু উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।