বগুড়া ওয়াইএমসিএ পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ ক্যাম্পাস আজও স্মৃতির পাতায় প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের

প্রেস বিজ্ঞপ্তি
প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২২:১৪ ।
বগুড়ার খবর
পঠিত হয়েছে বার।

মানুষ স্মৃতিকাতর। জীবনের দীর্ঘ পথে বহু স্মৃতি জমে, তবে শৈশবের স্মৃতি সময়ের স্রোতেও অম্লান থাকে। স্কুলজীবনের রঙিন দিনগুলোই সবচেয়ে উজ্জ্বল হয়ে রয়ে যায়। শৈশবের হাসি, কৈশোরের উচ্ছ্বাস আর তারুণ্যের স্বপ্ন সব মিলেমিশে একাকার হয়ে থাকে সেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিটি ইটপাথরে। শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত বগুড়া ওয়াইএমসিএ পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ এমনই এক স্মৃতিঘেরা দীপ্ত প্রতিচ্ছবি।

 

 

প্রতিষ্ঠার পর থেকেই আলোকিত মানুষ গড়ার প্রত্যয়ে এগিয়ে চলেছে স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। অভিভাবকদের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়ে যুগোপযোগী শিক্ষার মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করছে। সবুজে ঘেরা, কোলাহলমুক্ত ক্যাম্পাস, সুপ্রশস্ত খেলার মাঠ, আধুনিক কম্পিউটার ল্যাব, সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার এবং সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে মনিটরিং ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠানটিকে বগুড়ার অন্যতম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত করেছে। প্রতিষ্ঠানটি বোর্ড পরীক্ষায় ফলাফলেও ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করছে। 

 

 

সৎ ও সুদক্ষ পরিচালনা পর্ষদ, অভিজ্ঞ শিক্ষক মণ্ডলী, আধুনিক পাঠদান পদ্ধতি এবং বিজ্ঞানভিত্তিক বাস্তবমুখী শিক্ষা উপকরণের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশ, সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত করার নিমিত্তে খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে দক্ষ করে গড়ে তোলে। শিক্ষার্থীরা ইতিমধ্যেই দেশের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল ও ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠানে সাফল্যের সঙ্গে পড়াশোনা করছে। অনেকে দেশের শীর্ষ পর্যায়ের চিকিৎসক, প্রকৌশলী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, সংস্কৃতিকর্মী ও উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

 

 

প্রাক্তন শিক্ষার্থী শাহরিয়ার ইসলাম দিহান বলেন, স্কুল জীবন ছিল এক জাদুর সময়, যেখানে বন্ধুত্ব ছিল নিখুঁত, হাসি ছিল অকারণ, আর চিন্তামুক্ত ছিল দিনগুলো। বগুড়া ওয়াইএমসিএ স্কুলেই হয়েছিল আমার পড়াশোনার হাতেখড়ি। শিক্ষকরা ছিলেন অত্যন্ত আন্তরিক। তারা শুধু আমাদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষায় সীমাবদ্ধ রাখেননি, বরং বিভিন্ন সহশিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে নৈতিক শিক্ষা ও সামাজিক মূল্যবোধেও উদ্বুদ্ধ করেছেন। শিক্ষকদের অকৃত্রিম স্নেহ ও পথনির্দেশনা আমাদের জীবনকে দিয়েছে অটল দিশা। ক্যাম্পাসের ছায়াঘেরা মাঠ, আড্ডা, কোলাহল এবং হাসির প্রতিধ্বনি আজও হৃদয়ে উজ্জীবন জাগায়। জীবনের সেই পুরনো দিনগুলোর কথা মনে পড়লে, চোখ এখনো ঝাপসা হয়ে উঠে। 

 

 

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ রবার্ট রবিন মারান্ডী আলাপকালে জানান, বগুড়া ওয়াইএমসিএ পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ কেবল পাঠের স্থান নয়, এটি নৈতিকতা ও মানবিকতার আলোকশিখা জ্বালানোর এক কেন্দ্রস্থল। প্রকৃত মেধার বিকাশ ও শিক্ষার গুণগত মান বজায় রেখে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল ও আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। শুধু ভালো ফলাফল নয়, শিক্ষার্থীদের শিষ্টাচার, নৈতিকতা, শ্রদ্ধাবোধ ও মানবিক গুণাবলিতেও সমৃদ্ধ করা এবং শিক্ষার সর্বোচ্চ পরিবেশ নিশ্চিত করতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। অভিজ্ঞ শিক্ষক মণ্ডলী সুশিক্ষা এবং কো-কারিকুলামে বিশেষ নজর দিয়ে থাকেন। তারা শিক্ষার্থীদের মেধা, মনন ও সৃজনশীলতার বিকাশে নিবেদিতভাবে কাজ করছেন। সুদীর্ঘ চলার পথে অত্র প্রতিষ্ঠানের গৌরবোজ্জ্বল সুনাম জেলার সীমা ছাড়িয়ে উত্তারাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে।

 

 

সময় বয়ে যায়, ক্যালেন্ডারের পাতা বদলায়, কিন্তু বগুড়া ওয়াইএমসিএ পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ ক্যাম্পাসের স্মৃতিগুলো প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের হৃদয়ে চিরঅম্লান হয়ে রয়ে গেছে। যেখানে রয়েছে কৈশোরের স্নিগ্ধ স্বপ্ন, অম্লান ভালোবাসা আর অগণিত স্মৃতির অনন্ত আলো।