বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে বগুড়ায় বৈজ্ঞানিক সেমিনার অনুষ্ঠিত
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম (এনডিএফ) বগুড়া শাখার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে বৈজ্ঞানিক সেমিনার। রোববার ( ১৩ অক্টোবর) বগুড়া ইবনে সিনা হাসপাতাল ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে সেমিনার হয়।
সেমিনারে মুখ্য আলোচক ছিলেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ও সাইকোথেরাপিস্ট ডা. মো. আজিজুল হাকিম বাপ্পা। তিনি ‘সাইকো-স্পিরিচুয়াল হেলথ ইন ক্যাটাস্ট্রফেস অ্যান্ড পসিকোথেরাপিএস’ শিরোনামে বৈজ্ঞানিক প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। প্যানেল অব এক্সপার্ট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টিএমএসএস মেডিকেল কলেজের মনোরোগবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডা. মো. মামুন আল মুজাহিদ।
প্রধান অতিথি ছিলেন বগুড়া এনডিএফের সভাপতি ও বিশিষ্ট শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মো. লিয়াকত আলী।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন এনডিএফ বগুড়ার সেক্রেটারি শিশু সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান সরকার। সঞ্চালনায় ছিলেন অর্থোপেডিক্স ও ট্রমা সার্জন ডা. মো. সেলিম রেজা; স্বাগত বক্তব্য রাখেন, সায়েন্টিফিক সেক্রেটারি, বিশিষ্ট নিউরোসার্জন ও সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. ফজলুল হক।
প্রধান অতিথি বলেন, ‘আধ্যাত্মিক স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। চিকিৎসকসহ আমাদের সবাইকে মানসিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি আধ্যাত্মিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হবে। তিনি রাসুলুল্লাহর (সা.) উদাহরণ দিয়ে বলেন, তাঁর ঘরে সম্পদ ছিল না বটে, কিন্তু সুখের কমতি ছিল না। আবার তিনি আনাসের (রা.) মতো খাদেমের সাথে কখনও খিটখিটে মেজাজ দেখাননি। এসবই সম্ভব হয়েছে তাঁর অপরিমেয় আধ্যাত্মিক শক্তির বলে।’
মুখ্য আলোচক 'বিপর্যয় ও জরুরি অবস্থায় মনো-আধ্যাত্মিক স্বাস্থ্য' বিষয়ক আলোচনায় বলেন, আধ্যাত্মিকতা মানসিক স্বাস্থ্যের মতোই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) স্বাস্থ্যের সংজ্ঞায় শারীরিক, মানসিক, সামাজিক এবং আধ্যাত্মিক সুস্থতার কথা বলা আছে। শারীরিক ও মানসিক রোগের চিকিৎসায় আধ্যাত্মিক উপাদানের, কাউন্সেলিংয়ের ব্যবহার বিজ্ঞানসম্মত এবং প্রমাণভিত্তিক (Evidence based)। বিপর্যয় এবং জরুরি অবস্থায় সাইকোলজিক্যাল ফার্স্ট এইডে (পিএফএ) আধ্যাত্মিকতা, ধর্ম, বিশ্বাসভিত্তিক কাউন্সেলিং নিয়ে গবেষণায় আশাব্যঞ্জক ও ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া গেছে।
এ ছাড়া দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন মানসিক রোগের ক্ষেত্রে জিকর (শিথিলায়ন ব্যায়াম হিসেবে), মোরাকাবা (মাইন্ডফুলনেস মেডিটেশন), ইসলামিক সিবিটি (আইআইসিবিটি) ও সুফিস্টিক সাইকোথেরাপি প্রয়োগ করা যেতে পারে। এ ছাড়া প্রেজেন্টেশন শেষে চিকিৎসকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন আলোচক ও প্যানেল অব এক্সপার্ট।
প্রসঙ্গত, প্রতিবারের ন্যায় এ বছরও ১০ অক্টোবর, বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়। এ বছরের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘বিপর্যয় কিংবা জরুরি অবস্থায়, মানসিক স্বাস্থ্যসেবা যেন পাওয়া যায়।