বগুড়ায় ইজিবাইক চালককে গলা কেটে হত্যা: পরিকল্পিত ছিনতাই চক্রের দুই সদস্য গ্রেপ্তার
স্টাফ রিপোর্টার
বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় ইজিবাইক চালক মোফাজ্জল হোসেনকে (৫২) গলা কেটে হত্যার ঘটনায় দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ছিনতাইকৃত ইজিবাইকসহ পাঁচটি অটো, হত্যায় ব্যবহৃত সুইজ গিয়ার বার্মিজ চাকু, রশি ও রক্তমাখা কাপড়ও উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার (৮ নভেম্বর) বিকালে শাজাহানপুর থানায় সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তফা মঞ্জুর।
নিহত মোফাজ্জল হোসেন ৭নং খোট্টাপাড়া ইউনিয়নের খলিশাকান্দি গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় তিনি ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক চালক। ৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় প্রতিদিনের মতো ইজিবাইক নিয়ে বের হন তিনি। রাত ১২টার পর থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরদিন সকাল সাড়ে ৬টার দিকে শাজাহানপুরের তুতবাগানের প্রাচীরসংলগ্ন স্থান থেকে তার গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে স্বজনরা শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে মরদেহ শনাক্ত করেন। ঘটনার পর নিহতের স্ত্রী মাবিয়া সুলতানা বাদী হয়ে শাজাহানপুর থানায় হত্যা মামলা করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তফা মঞ্জুর জানান, হত্যার পরপরই তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় লুণ্ঠিত বাটন মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয় ধুনট উপজেলার নিমগাছী ইউনিয়নের সোহেল রানা নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, মোবাইলটি ৬০০ টাকায় কিনেছেন ছোট সজিবের কাছ থেকে। এরপর অভিযান চালিয়ে ধুনটের জয়শিং পশ্চিমপাড়া এলাকা থেকে বড় সজিব (২১) ও ছোট সজিব (১৯) কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ছোট সজিবের ঘরে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয় হত্যায় ব্যবহৃত সুইজ গিয়ার বার্মিজ চাকু, দুটি রশি ও রক্তমাখা থ্রি কোয়ার্টার প্যান্ট। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী লুণ্ঠিত ইজিবাইকসহ মোট পাঁচটি অটো ও ১৫টি ব্যাটারি উদ্ধার হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তফা মঞ্জুর আরও বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত ছিনতাই চক্র। ইজিবাইক ছিনতাই করাই ছিল মূল উদ্দেশ্য। এজন্যই মোফাজ্জল হোসেনকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। গ্রেপ্তার দুই আসামি এবং মোবাইল ক্রেতা সোহেল আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেবেন। পলাতক সদস্যদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।