বগুড়ায় অনলাইন জুয়ার দ্বন্দ্বে লোটো শোরুম ম্যানেজারকে হত্যা: প্রধান অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
স্টাফ রিপোর্টার
বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় লোটো শোরুম ম্যানেজার পিন্টু আকন্দ (৩৮) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। রবিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে র্যাব-১২ ও র্যাব-১ এর যৌথ অভিযানে গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গি পূর্ব থানার স্টেশন রোড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আসামির নাম মোক্তার হোসেন(৩৫)। তিনি বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার কনকাই গ্রামের আহাদ আলীর ছেলে। সোমবার বিকাল ৫টার দিকে প্রেস কনফারেন্সে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১২ বগুড়ার কোম্পানী কমান্ডার লেঃ বিএন ওয়াহিদুজ্জামান।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, নিহত পিন্টু আকন্দ বগুড়া জেলার দুপচাঁচিয়া থানাধীন সিও অফিস মোড় সংলগ্ন খন্দকার মার্কেটে তৌফিক এলাহী সুজনের লোটো শোরুমের ম্যানেজার হিসেবে প্রায় তিন বছর ধরে কর্মরত ছিলেন। গত ২২ ডিসেম্বর রাতে দোকান বন্ধ করার সময় অজ্ঞাত ৬-৭ জন দুষ্কৃতিকারী শোরুমে প্রবেশ করে তাকে জোরপূর্বক টানাহেঁচড়া করে একটি সাদা হাইএস মাইক্রোবাসে তুলে অপহরণ করে। পরে আদমদিঘী উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয়নের কোমরভোগ এলাকায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতের নাক-মুখে স্কচটেপ লাগানো ছিল এবং শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
ঘটনার পর নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে দুপচাঁচিয়া থানায় অপহরণ ও হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর-১৪, তারিখ: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ধারাঃ ৩৬৪/৩০২/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০।
র্যাব কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত মোক্তার হোসেন স্বীকার করেন, অনলাইন জুয়াকে কেন্দ্র করে এই অপহরণ ও হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। নিহত পিন্টু আকন্দ অনলাইন জুয়ার প্ল্যাটফর্ম 1xBet-এর এজেন্ট ছিলেন। অভিযুক্তরা অনলাইন জুয়ায় বড় অঙ্কের টাকা হারিয়ে পিন্টুর কাছ থেকে জোরপূর্বক এজেন্টশিপ দখলের পরিকল্পনা করে। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই তাকে অপহরণ করা হয় এবং একপর্যায়ে নাক-মুখে স্কচটেপ পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়।
র্যাব-১২ বগুড়ার কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট বিএন ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুপচাঁচিয়া থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।