বগুড়ার শেরপুরে ঐতিহাসিক মা ভবানীর মন্দিরে রামনবমী উৎসব উদযাপন

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩০ মার্চ ২০২৩ ১৭:৫৩ ।
বগুড়ার খবর
পঠিত হয়েছে বার।

বগুড়ার শেরপুরে উপমহাদেশের ৫১টি পীঠস্থানের অন্যতম ঐতিহাসিক মা ভবানীর মন্দিরে রাম নবমী উৎসব উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৩০মার্চ) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মন্দির সংলগ্ন শাঁখারী পুকুরে পূণ্যস্নান করেন হাজার হাজার পূণ্যার্থীরা। 


‘হে মহাভাগ শাঁখারী পুকুর, হে লৌহিত্য আমার পাপ মোচন কর’ -এ পবিত্র মহামন্ত্র উচ্চারণের মধ্য দিয়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা এই স্নানোৎসবে অংশ নেন। অতীত জীবনের পাপ মোচনসহ পূণ্যলাভের আশায় বুধবার (২৯মার্চ) বিকেল থেকেই মন্দিরস্থলে পূণ্যার্থীরা আসতে থাকেন। পরদিন বৃহস্পতিবার দর্শনার্থীদের পদভারে মন্দির প্রাঙ্গণ ও আশেপাশের এলাকা মুখর হয়ে ওঠে। মন্দিরস্থলে বসে আগত পূণ্যার্থীদের মিলনমেলা। প্রতি বছরের মতো এবারও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পূণ্যার্থীরা এসেছেন স্নান উৎসবে। ভবানীপুর মন্দির উন্নয়ন ও সংস্কার কমিটির নেতা দিলীপ কুমার দেব জানান, এ উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপিত হচ্ছে। এবারও এ উৎসবে হাজার হাজার ভক্ত অংশ নিচ্ছেন। প্রতি বছর চৈত্রের রাম নবমী তিথিতে মন্দির ও তার আশেপাশের এলাকাজুড়ে এ স্নান উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।


ধর্মীয় শাস্ত্রমতে, দিনটিতে এ স্থানে অংশ নিলে তার অতীত জীবনের পাপ মোচনসহ পূণ্যলাভ হয়। আর সেই আশায় হাজার হাজার ভক্ত নর-নারী ও শিশু কিশোর মন্দিরের শাঁখা পুকুরে স্নান করেন।


সেই সঙ্গে ঐতিহাসিক এই মন্দিরে রক্ষিত প্রতিমা দর্শন, পূজা অর্চনা, ভোগদান, অর্ঘ্যদান, মাতৃদর্শন করেন ভক্তরা। মন্দিরের পক্ষ থেকে ভক্তদের মাঝে প্রসাদ বিতরণ করা হয়। তিথি অনুযায়ী মা ভবানী মন্দিরে রাম নবমী উৎসবে যোগ দিতে বুধবার বিকেল থেকেই পূণ্যার্থীরা আসতে থাকেন। এজন্য অসংখ্য দর্শনার্থী মন্দির এলাকা ও আত্মীয়স্বজনের বাসাবাড়িতে রাত যাপন করেন।
ভবানীপুর মন্দির পরিচালনা কমিটির অন্যতম সদস্য নিমাই ঘোষ জানান, যুগ যুগ আগে থেকেই এ ধর্মীয় তিথি উৎসব উদযাপন হয়ে আসছে। এ বছরও এখানে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বিপুল সংখ্যক ভক্তের সমাগম ঘটেছে। এখানে দূর-দূরান্তের পূণ্যার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থাও রয়েছে বলে তারা জানান।


এদিকে এ উপলক্ষে প্রতিবছর মা ভবানী মন্দিরের চারপাশে ৩দিনব্যাপী মেলা বসে। মেলায় মিষ্টান্ন সামগ্রীসহ রকমারি খাবার পাওয়া যায়। একইসঙ্গে শিশুদের বিভিন্ন খেলনা, ইতিহাস ঐতিহ্যখ্যাত বই পুস্তকও মেলায় পাওয়া যায়।