ঝুঁকি নিয়ে ট্রাকে করেই ফিরছে উত্তরের বিভিন্ন জেলার মানুষ

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১৫ জুন ২০২৪ ১৯:০০ ।
বগুড়ার খবর
পঠিত হয়েছে বার।

স্বজনদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে রাজধানী থেকে ট্রাকে করেই ফিরছে উত্তরের বিভিন্ন জেলার মানুষ। একদিন পরেই পবিত্র পবিত্র ঈদুল আযহা, তাই কর্মস্থল থেকে ছুটি পেয়ে নাড়ীর টানে বাড়ী ফিরছে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। তবে বাসে টিকিট না পেয়েই তারা এভাবে ঝুঁকি নিয়ে আসছেন বলে জানান।

 

গাবতলী ও গাজীপুর থেকে বগুড়া পর্যন্ত জনপ্রতি ৪’শ থেকে ৫’শ টাকায় তারা ফিরছে আপন ঘরে। আজ সকালে বগুড়ার সড়ক মহাসড়কে এ চিত্র দেখা গেছে।

 

এদিকে জীবনের ঝুকি নিয়ে ট্রাকে বা বাসের ছাদে ঈদযাত্রা না করার আহবান জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন এবং যানজট নিরসনসহ জননিরাপত্তায় পুলিশ সদস্যরা সড়ক মহাসড়কে দায়িত্ব পালন করছেন। 

সরোজমিনে গতকাল শনিবার ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের তিনমাথা, চারমাথা, বনানীসহ বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে ট্রাকে করে পরিবার পরিজন নিয়ে আসছেন শ্রমজীবি মানুষ। কর্মস্থল থেকে ছুটি পেয়ে তারা শেষ মুহুর্তে বাসে টিকেট না পেয়ে উপায়হীন হয়েই ট্রাকে করে ফিরছেন বলে জানা গেছে। ট্রাকে আসা যাত্রীরা অধিকাংশ বগুড়া, নওগাঁ, জয়পুরহাট ও গাইবান্ধা জেলার। গার্মেন্টস শ্রমিক রাশেদুল ইসলাম বলেন, সাভারের গার্মেন্টসে কাজ করি। বাড়ীতে মা, বাবা ও স্ত্রী সন্তান আছে। ঈদে তাদের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতেই এভাবে ঝুকি নিয়ে আসা।

 

গাবতলীতে নিম্ন আয়ের কাজ করেন রফিকুল মিয়া, তিনি বলেন ৫শ টাকায় গাবতলী থেকে মোকামতলা পর্যন্ত যাবো, এরপর জয়পুরহাটের কালাই উপজেলায় গ্রামের বাড়ীতে যাবেন।

 

তিনি বলেন, আমরা গরিব মানুষ, এত টাকা দিয়ে বাসে আসা সম্ভব না। তাই বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়েই ট্রাকে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছি। গাবতলী ও গাজীপুর থেকে বগুড়া পর্যন্ত জনপ্রতি ৪’শ থেকে ৫’শ টাকায় আসছেন যাত্রীরা বলে জানান ট্রাক চালক।

 

ট্রাক চালক আব্দুল মবিন জানান, ট্রাকের যাত্রীরা সবাই খেটে খাওয়া মানুষ। কম ভাড়ায় এভাবেই যে যার মতো করে আসছে। ঝুঁকি একটু থাকলেও সাবধানে তিািন গাড়ী চালাচ্ছেন বলে জানান।

এদিকে, মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে ট্রাকে বা বাসের ছাদে ঈদযাত্রায় নিরুৎসাহিত করেছেন বগুড়ার পুলিশ। ঈদেও আগে ও পওে যানজট নিরসনসহ যাত্রীদেও নিরাপত্তায় সড়ক মহাসড়কে দায়িত্ব পালন করছেন তারা। শনিবার দুপুরে জেলার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন পুলিশ সুপারসহ উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা। 

বগুড়া পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বলেন,  ঈদের আগে ও পরে সড়ক মহাসড়কে সতর্ক প্রহরায় থাকবে জেলা পুলিশ। যানজট প্রবন এলাকায় দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি যাত্রীদের নিরাপদে গন্তব্যে পৌছে দিতে আমরা বদ্ধপরিকর। একইসাথে বাসের ছাদে ও ট্রাকে করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঈদযাত্রা না করার আহবান জানান তিনি। যারা ঝুকি নিয়ে ট্রাকে আসছেন তাদেরকে বাসে যাওয়ার জন্য পরিবহন মালিকদের সাথে সমন্বয় করে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।