নওগাঁয় দুই সাংবাদিককের তুলে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন
নওগাঁ প্রতিনিধি
নওগাঁয় দুই সাংবাদিককের তুলে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় সাংবাদিকরা। জেলার পত্নীতলার উপজেলা সাংবাদিক মাহমুদুন্নবী ও রবিউল ইসলামকে তুলে নিয়ে নির্যাতন ও মাহমুদুন নবীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলার প্রতিবাদ করে নওগাঁ জেলা সম্মিলিত সাংবাদিক ঐক্য জোটের সাংবাদিকরা এ মানববন্ধন করেন।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে শহরের মুক্তির মোড় শহীদ মিনারের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী সাংবাদিকরা তাদের বক্তব্যে বলেন, সাংবাদিক মাহমুদুন্নবী ও রবিউল ইসলামকে তুলে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন ও গলায় জুতার মালা দিয়ে লাঞ্চিত করা হয়। পরে এই ঘটনায় মাহমুদুন্নবীর ভাই বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করতে গেলে তার মামলা না নিয়ে উল্টো ক্লিনিক মালিকরা ষড়যন্ত্রমূলক একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সাংবাদিকদের হয়রানি বন্ধ করার আহ্বান জানান সাংবাদিকরা। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক মাহমুদুন্নবী বেলাল, সাদিকুল ইসলাম, এম আর রকি, এ কে সাজু প্রমুখ।
নির্যাতনের শিকার মাহমুদুন নবী জানান, শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তিনি নজিপুর বাজারে সিটি ক্লিনিকের সামনে একটি দোকানে চা পান করছিলেন। এ সময় সিটি ক্লিনিকের চিকিৎসক ও মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার দেওয়ান সবুর হোসেন তাকে জোর করে ক্লিনিকের ভেতরে ধরে নিয়ে যায় এবং মারধর শুরু করে। ঘরে আটকে রেখে মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে কয়েক দফায় তাকে মারধর করা হয়।
তিনি আরও জানান, তাকে মেরে ফেলার হুমকিও দেয় তারা। এ সময় তিনি আর সাংবাদিকতা করব না এমন প্রতিশ্রুতি নিয়ে রাজস্ব ষ্ট্যাম্প লাগানো সাদা কাগজে জোর করে আমার স্বাক্ষর করে নেয়া হয়। এছাড়া ফেসবুকে লাইভে সাংবাদিকতা না করার ঘোষণা এবং গলায় জুতার মালা ঝুলিয়ে ছবি ও ভিডিও ধারণ করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনা বাহিনীর সদস্যরা এসে আমাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে পত্নীতলা থানার ওসি মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, ক্লিনিক ডায়াগনোষ্টিক সমিতির লোকজন বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের সাথে নিয়ে থানায় এজাহার দিতে এসেছিলেন। তাই তাদের অভিযোগ এজাহারভূক্ত করা হয়েছে। মাহমুদুর নবীর গলায় জুতোর মালা দিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ছেড়ে দেয়ার বিষয়ে মামলা নয় বড়জোর একটি সাধারণ ডাইরি হতে পারে বলে জানান তিনি।