১৯ জুলাই ঢাকায় মহাসাবেশ বাস্তবায়নে বগুড়া জেলা জামায়াতের দায়িত্বশীল সমাবেশ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বগুড়া জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল হক সরকার বলেছেন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে সব নাগরিকের ভোটের মূল্যায়ন হবে। এজন্য পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের বিকল্প কোন নির্বাচন নেই। পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটের মূল্যায়ন করতে হবে। যেখানে দেখা যায় অতীতে গড়ে ৩০ শতাংশ ভোট পেয়ে রাজনৈতিক দলগুলো সরকার গঠন করেছে। অথচ ৭০ শতাংশ ভোটার ঐ সরকারকে ভোট দেয়নি। বৃহৎ ভোটের প্রদত্ত ভোটের কোন মূল্যায়ন হয়নি। তাই পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে সব নাগরিকের ভোটের মূল্যায়ন হবে। তাই পিআর পদ্ধতির একটি সুষ্ঠু ও গ্রহনযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।
তিনি মঙ্গলবার বিকেলে বগুড়ার কলোনী শাহওয়ালী উল্লাহ মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বগুড়া জেলা শাখা আয়োজিত ১৯ জুলাই ঢাকায় মহাসাবেশ বাস্তবায়নে এক দায়িত্বশীল সমাবেশে এ কথা বলেন। জেলা সেক্রেটারী মাওলানা মানছুরুর রহমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুল বাসেত, মাওলানা আব্দুল হাকিম, সহকারী সেক্রেটারী মাওলানা আব্দুল বাছেদ, মিজানুর রহমান, মাওলানা মমতাজ উদ্দিন, মাওলানা আব্দুল্লাহিল বাকী, মো: মুজাহিদ, হাফেজ আব্দুন নুর, এ্যাডভোকেট আব্দুল হালিম, মাওলানা আব্দুল মজিদ, রেজাউল করিম, আব্দুল মমিন, লতিফ ইব্রাহিম জিন্নাহ প্রমুখ। সমাবেশে বগুড়ার সকল উপজেলা ও পৌর আমীর উপস্থিত ছিলেন।
জেলা আমীর মাওলানা আব্দুল হক সরকার বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনার অপশাসনের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রাষ্ট্রীয় বাহিনী ও আওয়ামী লীগের পেটুয়া বাহিনী কর্তৃক পরিচালিত গণহত্যায় দুই সহস্রাধিক বেসামরিক জনগণকে হত্যা করা হয়েছে। ভারতীয় আধিপত্য প্রতিষ্ঠায় হাসিনা যেই ষড়যন্ত্র করেছে, সেই ষড়যন্ত্র ছাত্র-জনতা জীবন দিয়ে নস্যাৎ করে দিয়েছে। বিক্ষোভের মুখে হাসিনা লেজ গুটিয়ে ভারতে পালিয়ে যায়। হাসিনা পালিয়ে গেলেও তার দোসররা প্রশাসনে বহালতবিয়তে বসে আছে। গণহত্যার সাথে জড়িত প্রত্যেকের বিচার নিশ্চিত করে এবং রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার সম্পন্ন করে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দিতে হবে। তবেই শহীদের আত্মা শান্তি পাবে। আহত-পঙ্গুত্ব বরণকারীদের মুখে আনন্দের হাসি ফুটে উঠবে।