প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় বগুড়ায় দাদি-নাতবউকে গলা কেটে হত্যা, প্রধান অভিযুক্ত সৈকত গ্রেপ্তার

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১৭ জুলাই ২০২৫ ১১:৩৯ ।
প্রধান খবর
পঠিত হয়েছে ২২৩ বার।

প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় বগুড়ায় দাদি-নাতবউকে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যাওয়া প্রধান অভিযুক্ত সৈকত হাসানকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) ভোরে শহরের খান্দার এলাকায় পাসপোর্ট অফিসের পাশে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

 

গ্রেপ্তার সৈকত হাসান বগুড়া শহরের ইসলামপুর হরিগাড়ী এলাকার মো. সোহেল ইসলামের ছেলে।

 

বগুড়া জেলা ডিবির ইনচার্জ ইকবাল বাহার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ‘গ্রেপ্তার এড়াতে সৈকত নানা কৌশলে আত্মগোপনে ছিল। তবে পুলিশের চৌকস অভিযানে অবশেষে তাকে ধরা হয়েছে। তাকে সঙ্গে নিয়ে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চলছে।’

 

এর আগে বুধবার (১৬ জুলাই) রাত সোয়া ৮টার দিকে বগুড়া পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইসলামপুর হরিগাড়ী এলাকায় নৃশংস এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহতরা হলেন—স্থানীয় মৃত আব্দুল কুদ্দুস বুলুর স্ত্রী লাইলী বেওয়া (৮৩) এবং পারভেজ ইসলামের স্ত্রী হাবিবা ইয়াসমিন (২১)। সম্পর্কে তাঁরা দাদিশাশুড়ি ও নাতবউ। একই ঘটনায় আহত হন এসএসসি পাস করা বুলবুলের মেয়ে বন্যা (১৬)।

 

নিহতদের স্বজনরা জানান, সৈকত দীর্ঘদিন ধরে বন্যাকে উত্যক্ত করত এবং বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল। পরিবার তা প্রত্যাখ্যান করে প্রতিবাদ জানালে সৈকত ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। বুধবার রাতে সৈকত ও তার সঙ্গে থাকা আরও ৭-৮ জন দুর্বৃত্ত ঘরে ঢুকে প্রথমে হাবিবাকে, পরে লাইলী বেওয়াকে গলা কেটে হত্যা করে। বন্যা বাধা দিতে গেলে তাকে পেটে ছুরিকাঘাত করা হয়। তার চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে আহতদের উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক লাইলী বেওয়া ও হাবিবাকে মৃত ঘোষণা করেন।

 

বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তফা মঞ্জুর জানান, ‘ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। ইতিমধ্যে প্রধান অভিযুক্ত সৈকতকে ধরতে সক্ষম হয়েছি। আহত বন্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।’