কর্মীদের কোপালেন যুবলীগ নেতা
পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
ঢাকার আশুলিয়ায় যুবলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে ইয়ারপুর ইউনিয়নের যুবলীগের কর্মী রিপনসহ অন্তত ৫ জনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে আশুলিয়া থানা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুমন ভূঁইয়া ও তার স্বজনরা।
শনিবার আশুলিয়ার বেরন এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আহত রিপন মিয়ার স্ত্রী চায়না বেগম আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ এ ঘটনায় অভিযুক্ত উজ্জল ভূঁইয়াকে গ্রেফতার করেছে।
মামলার এজাহার ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুমন ভূঁইয়ার লোকজন আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় ব্যানার-ফেস্টুনের মাধ্যমে যুবলীগের অপপ্রচার ও সন্মানহানি করে আসছিল। এ জন্য আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কবির হোসেন সকার গত শুক্রবার রাতে সংগঠনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অপপ্রচারে ব্যবহৃত ব্যানার ফেস্টুন খুলে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়।
শুক্রবার রাতে যুবলীগ কর্মী রিপন মিয়া, ফারুক, শিপু, রিপন, বাবু ও নয়ন ইয়ারপুর এবং জামগড়া এলাকায় অপপ্রচারে ব্যবহৃত ব্যানার-ফেস্টুন খুলে পিকআপ গাড়িতে করে জামগড়া থেকে নরসিংহপুরের দিকে যাচ্ছিল।
বিষয়টি জানতে পেরে রুবেল আহম্মেদ ও তার বাহিনীর লোকজন যুবলীগ কর্মীদের গতিরোধ করে। পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের হত্যার উদ্দেশে কুপিয়ে আহত করে রাস্তায় ফেলে রেখে যায়। স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত যুবলীগ কর্মী রিপন মিয়ার স্ত্রী বলেন, শুক্রবার রাতে রুবেল আহম্মেদ ভূঁইয়া আমার স্বামী রিপনকে হত্যার উদ্দেশ্যে রামদা দিয়ে মাথায় কোপ দিলে তার মাথা কেটে মগজ বের হয়ে আসে।
আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কবির হোসেন সরকার বলেন, অপপ্রচারের বিষয়ে এর আগে শিমুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক আমির হোসেন জয় ও আশুলিয়া থানা যুবলীগের সদস্যরা আশুলিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। শুক্রবার রাতে সংগঠনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অপপ্রচারে ব্যবহৃত ব্যানার-ফেস্টুন খুলে আনার সময় আমার কর্মীদের কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।
আশুলিয়া থানার এসআই শফিকুল ইসলাম সুমন বলেন, যুবলীগ কর্মীদের মারধরের ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত উজ্জল ভূইয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং বাকি আসামিদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।