এক নজরে বাংলাদেশ ভূখণ্ডে আঘাত হানা কয়েকটি প্রলয়ঙ্করী ঝড়

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০১৯ ১৯:২৭ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৫৫২ বার।

এক নজরে বাংলাদেশ ভূখণ্ডে আঘাত হানা কয়েকটি প্রলয়ঙ্করী ঝড় সম্পর্কে জানা যাক।

‘ভোলা ঘূর্ণিঝড়’ আঘাত হানে ১৯৭০ সালের ১৩ নভেম্বর। ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল আরেকটি শক্তিশালী ঝড় আছড়ে পড়ে। সেটির নাম দেয়া হয় ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশ। সিডর আঘাত হানে ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর। আর ধ্বংসাত্মক আইলা ২০০৯ সালের ২৫ মে হানা দেয়। ঘূর্ণিঝড় মোরা আঘাত হানে ২০১৭ সালের ৩০ মে।

আঘাত হানা ঝড়গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় ভোলা ঘূর্ণিঝড়ে। ক্ষতির দিকে এরপর পরই আছেন ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশ, সিডর আর আইলা।

এরমাঝে, ভোলা ঘূর্ণিঝড় ১৭৮ থেকে ২২২ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানে। প্রাণ হারান প্রায় ৫ লাখ মানুষ। ঝড়ে নষ্ট হয় ১০ লাখ হেক্টর জমির ফসল। চার লাখ গবাদি পশুর মৃত্যু হয়। আর ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৩৫ হাজার ঘর ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশ আঘাত হানে ২৫০ কিলোমিটার বেগে। মারা যান প্রায় ১ লাখ ৩৮ হাজার মানুষ। ১ কোটিরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়।

ঘূর্ণিঝড় সিডরের ক্ষয়ক্ষতি এখনও আঁতকে ওঠার মতো। ৩২টি জেলায় একসাথে আঘাত হানে সিডর। ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ ছিল ২৬০ থেকে ৩০৫ কিলোমিটার। প্রলয়ঙ্করী ওই ঝড়ে প্রাণ হারান ৬ হাজারেরও বেশি মানুষ। প্রায় ২ লাখ ১০ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়। ৯ লাখ ৬৮ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়। মৃত্যু হয় ২ লাখ ৪২ হাজার গবাদি পশুর।

ঘূর্ণিঝড় আইলায় ক্ষয়ক্ষতিও হয় অনেক। প্রায় ৩০টি জেলায় এক সাথে আঘাত হানে আইলা। বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় সর্বনিম্ন ১২০ কিলোমিটার। প্রাণ হারান প্রায় দুইশ মানুষ। তিন লাখেরও বেশি মানুষ হয় বাস্তুচ্যুত।