যে কারণে হাতজোড় করেন রাজশাহী জেলার আওয়ামী লীগ সভাপতি
পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে রাজশাহী জেলা সভাপতি ও তিনবারের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর হাতজোড় করার একটি ছবি ফেইসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
এ ছবি ফেইসবুকে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। এমন ছবি ফেইসবুকে দেওয়ার নিন্দাও করেন অনেকে। পরে যিনি ফেইসবুকে দিয়েছিলেন তিনি তা সরিয়ে নিলেও ছবি ভাইরাল হয়ে যায়।
জানা গেছে, রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম তার ফেইসবুক পেজে ছবি আপলোড করার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তা ভাইরাল হয়।
ভাইরাল হওয়া ওই ছবিতে দেখা যায়, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক ও সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সদস্য ও রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনসহ কয়েকজন নেতা বসে আছেন।
ছবিতে দেখা যায়, টেবিলের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী হাতজোড় করে আছেন। তার সামনে দাঁড়িয়ে আছেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ।
শুক্রবার ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের প্রধান কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে বলে দলটির সূত্র জানায়।
এরপর আব্দুস সালাম শনিবার রাতে ছবিটি তার ফেইসবুকে পোস্ট করেন।
দ্বিতীয় একটি ছবি তিনি রোববার পোস্ট করেন। যেখানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের দেখা যায়। তবে পরে তিনি ফেইসবুক থেকে ছবি ডিলিট করে দেন।
বৈঠকে উপস্থিত এক নেতা রোববার বিকেলে দেশ রূপান্তরকে জানান, 'রাজশাহী জেলা সভাপতি ও তিনবারের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর সঙ্গে তার কমিটির সাধারণ সম্পাদকের বিরোধ আছে। তিনি সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে আর কাজ করতে চান না বলে জানান। এ বিষয়ে অনুরোধ জানাতে হাতজোড় করেন'।
তিনি জানান, তবে কেন্দ্রীয় নেতারা তার আপত্তি আমলে নেন। তারা ৪ ডিসেম্বর রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করেন।
ওই নেতা আরো বলেন, যিনি এ ছবি ফেইসবুকে দিয়েছেন তিনি অভদ্রজনোচিত কাজ করেছেন।
আমাদের রাজশাহী প্রতিনিধি জানান, জেলা সভাপতি ওমর ফারুকের সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদের বিরোধ চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। এ বিরোধের প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি তাদের বৈঠকের জন্য শুক্রবার ঢাকায় যাকেন। ওই বৈঠকে রাজশাহী জেলার পুরো কমিটি উপস্থিত ছিল। সেখানে ৪ ডিসেম্বর সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ হয়।