‘দুর্নীতিবাজদের খবর প্রকাশ বন্ধ করতেই গণবিজ্ঞপ্তি জারি’

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ নভেম্বর ২০১৯ ১১:২৯ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৪৬ বার।

সরকারদলীয় লোক ও প্রশাসনের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের খবর যাতে প্রকাশ না পায় সেজন্যই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। খবর যুগান্তর অনলাইন

শুক্রবার সকালে নয়াপল্টনে এক বিক্ষোভ মিছিল শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।

কারাবন্দি খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম দলের উদ্যোগে এ বিক্ষোভ মিছিল হয়।

নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে আবার দলটির কার্যালয়ের সামনে শেষ হয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গণবিজ্ঞপ্তি নিয়ন্ত্রণমূলক উল্লেখ করে রিজভী বলেন, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, রাজনীতিক, ব্যবসায়ী ও সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়ে যাচাই-বাছাই ছাড়া সংবাদ প্রকাশ করা যাবে না বলে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বিজ্ঞপ্তিতে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের তথ্য যথাযথভাবে যাচাই করে সংবাদ প্রকাশের অনুরোধ করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ শাখা থেকে এ গণবিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়।

সরকারি এ বিজ্ঞপ্তি গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণমূলক। মূলত সরকারদলীয় লোক ও প্রশাসনের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের খবর যাতে প্রকাশ না পায় সেজন্যই এ আদেশ জারি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, লোক দেখানো দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে কিছু ছিঁচকে দুর্নীতিবাজের নাম প্রকাশের পর গণমাধ্যমে সরকারের শীর্ষ দুর্নীতিবাজের তালিকা প্রকাশ হওয়ার আতঙ্ক থেকে এ আদেশ জারি করা করা হয়েছে।

‘এমনিতে গণমাধ্যমের কোনো স্বাধীনতা নেই। দেশে যা ঘটে, যত অপকর্ম, দুর্নীতি হচ্ছে তার সিকিভাগও প্রকাশ পাচ্ছে না। তারপরও একের পর এক কালো আইন তৈরি করছে সরকার। বার বার কালো আইন করে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করাই তাদের মূল উদ্দেশ্য।’

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আরও অবনতি হয়েছে দাবি করে রিজভী বলেন, সারা শরীর ব্যথায় কাতরাচ্ছেন। হাত-পা নাড়াতে পারছেন না। বিএনপি চেয়ারপারসনকে কোনো প্রকার চিকিৎসাই দেয়া হচ্ছে না। গত ৮ দিন তার কাছে কোনো চিকিৎসক যাননি। জরুরি বিত্তিতে তার উন্নত চিকিৎসা না দিলে তার বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যাবে। আমি অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করছি।