পেঁয়াজ নিয়ে সিন্ডিকেটের বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে: কাদের

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ নভেম্বর ২০১৯ ১২:১২ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৩৯ বার।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পেঁয়াজ নিয়ে সিন্ডিকেটের বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আর খুব শিগগিরই তুরস্ক, মিশর থেকে পেঁয়াজ আসবে। ফলে পেঁয়াজ নিয়ে এ সংকট সাময়িক। শুক্রবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। খবর সমকাল অনলাইন 

দলের আসন্ন সম্মেলনে বিএনপিকে নিমন্ত্রণ করা হবে বলে জানিয়ে আওয়ামী লীগের এই সাধারণ সম্পাদক বলেন, সম্মেলন উপলক্ষে নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি কূটনীতিকদেরও দাওয়াত দেওয়া হবে। আগামী বছর মুজিববর্ষ উপলক্ষে বিদেশি অতিথিদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। তাই এবারের সম্মেলনে কোনো বিদেশি মেহমানকে আমন্ত্রণ জানানো হবে না। 

দলে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়ের আনুষ্ঠানিক অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিষয়টা আমাদের পার্টির সভাপতি, রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের বিষয়। জয়কে আগামীর জন্য গ্রুমিং করার বিষয়ে আমি বারবার নেত্রীকে বলে আসছি। তবে জয় যেভাবে আছেন আপাতত তিনি সেভাবেই থাকতে চান। পীরগঞ্জে তাকে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য অনেকের দাবি ছিল, কিন্তু তিনি রাজি হননি। কাজেই জয়ের নিজের ইচ্ছারও ব্যাপার আছে। জয় যখন বাংলাদেশে আসবেন, এ বিষয়ে আপনারা তাকে জিজ্ঞাসা করতে পারেন। 

দলে শেখ হাসিনা ছাড়া আর কেউ অপরিহার্য ব্যক্তি নন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দলের সাধারণ সম্পাদক পদেও নেত্রী যা করবেন, সেটাই হবে। তিনি পরিবর্তন চাইলে পরিবর্তন হবে। আমাদের এখানে কোনো প্রতিযোগিতা নেই। হয়তো কারো কারো ইচ্ছা বা আকাঙ্ক্ষা থাকতে পারে। সাধারণ সম্পাদক পদেও প্রার্থী থাকতে পারে। সেখানে কোনো অসুবিধা নেই। আমি যদি মনে করি, আমার প্রতিদ্বন্দ্বী আর কেউ হতে পারবে না— এটা তো ঠিক না। এটা ডিসাইট করবেন নেত্রী। তবে প্রার্থী হওয়ার অধিকার সবার আছে।  

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের কমিটির কলেবর এখন পর্যন্ত বাড়ানোর চিন্তাভাবনা নেই। কমিটি ৮১ জনই থাকবে। বর্তমান কমিটিতেই একটি সদস্য পদ ও সভাপতিমণ্ডলীর দুটি সদস্যের পদ খালি আছে। সেগুলো এই মুহূর্তে পূরণ হবে না। সম্মেলনের মধ্যদিয়ে আমরা পুরো কমিটি করে ফেলবো, এটাই আমাদের সিদ্ধান্ত।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন কোনো এমপি দলের উপজেলা পর্যায়ে পদপ্রার্থী হতে পারবেন না। এটা আমরা নিরুৎসাহিত করছি। উপজেলা পর্যায়ে সংসদ সদস্যদের আমরা অনুরোধ করছি— তারা যেন সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদে না এসে ত্যাগী ও দুঃসময়ের নেতাকর্মীদের সুযোগ করে দেন। কারণ তাদেরও অধিকার আছে। তারা এমপিও হতে পারেনি, দলে নেতৃত্বও পাবেন না, এটা তো হয় না।    

তিনি আরও বলেন, সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন কাউন্সিল অধিবেশন হবে। যদি ঘোষণাপত্র ও গঠনতন্ত্রে কোনো সংশোধনী থাকে, সেটার অনুমোদন নেওয়া হবে।  ঘোষণাপত্র ও  গঠনতন্ত্রে সংশোধনীর ব্যাপারে এর মধ্যেই আমরা জেলা শাখাগুলোকে চিঠি পাঠিয়েছি। সংযোজন, সংশোধন বা পরিমার্জন, পরিবর্ধন বিষয়ে জেলা শাখার কোনো প্রস্তাব থাকলে সেটা লিখে চিঠি পাঠাতে বলেছি।

কাদের বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বর্তমান মঞ্চে জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। নৌকার আদলে মঞ্চ হচ্ছে। সম্মেলন জাঁকজমক পূর্ণ হবে না। তবে মুজিববর্ষ জাঁকজমকপূর্ণ হবে। বর্ণিল না হলেও সমাগম বেশি হবে। সম্মেলনে দেশের প্রবীণ রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে।

বিএনপি খালেদা জিয়ার মুক্তি আইনের মাধ্যমে চায় না অভিযোগ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা আন্দোলনের মাধ্যমেই তাকে মুক্ত করুক। এটা দেখার অপেক্ষায় আছি।

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক- এনামুল হক শামীম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এস এম কামাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।