রাবি শিক্ষার্থীর মাথা ফাটালেন ২ ছাত্রলীগ কর্মী

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ নভেম্বর ২০১৯ ০৭:১১ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১২২ বার।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে মাথা ফাটানোর অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে। মারধরে সোহরাব নামের ওই ছাত্রের বাম হাতের দুই স্থানে ক্ষত হয়েছে।

শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা হলের তৃতীয় ব্লকে এ ঘটনা ঘটে।

আহত সোহরাব মিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের তৃতীয় বর্ষে শিক্ষার্থী। তিনি বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

অন্যদিকে অভিযুক্ত দুই ছাত্রলীগকর্মীরা হলেন, আসিফ লাক ও হুমায়ুন কবির নাহিদ। এরা দুজনেই জোহা হল শাখা ছাত্রলীগের দায়িত্বে রয়েছেন এবং রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়ার অনুসারী বলে জানা গেছে।

জানা যায়, ছাত্রলীগকর্মী আসিফ লাকের নেতৃত্বে সোহরাব ফ্যাইনান্স বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে হলের তৃতীয় ব্লকের ২৫৪ নাম্বার কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে সোহরাবকে বিভিন্ন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেন আসিফ লাক ও হুমায়ুন কবির নাহিদ।

এক পর্যায়ে তারা দুজন মিলে সোহরাবকে রড দিয়ে মারধর শুরু করেন। তারা সোহরাবের মাথা ও হাতে পিটাতে থাকে। এক পর্যায়ে সোহরাব রক্তাক্ত হলে তারা মারধর বন্ধ করে ফেলে চলে যায়।

পরে সোহরাবের বন্ধুরা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে ও পরে রামেকে ভর্তি করেন।

হাসপাতালে সোহরাবের সঙ্গে থাকা তার এক সহপাঠী জানান, সোহরাবের বাম হাতের কনুইয়ের ওপর ও নিচে দুই জায়গার হাড় ভেঙে গেছে।

ডাক্তারের বরাত দিয়ে তারা আরও জানান, তার মাথার তিন জায়গায় সেলাই দেয়া হয়েছে। তার মাথার ক্ষতস্থান থেকে রক্ত ক্ষরণ হচ্ছে। আপাতত এক ব্যাগ রক্ত দিয়ে তার সিটিস্ক্যান করানো হয়েছে। সিটি স্ক্যানের প্রতিবেদন পেয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে চিকিৎকরা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সোহরাবের আরেক সহপাঠী জানান, গত কয়েকদিন থেকেই ছাত্রলীগ নেতা আসিফ লাক সোহরাবকে নানানভাবে নির্যাতন করে আসছিলেন। দুইদিন আগেও আসিফ লাক সোহরাবকে ডেকে নিয়ে চড় থাপ্পর মেরেছিলেন। ঘটনার পেছনে কী কারণ রয়েছে তা কেউ বলতে পারছেন না।

এদিকে সোহরাবকে মারধরের ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত আসিফ ও নাহিদের মোবাইল ফোন রয়েছে। তাদের বক্তব্য জানার জন্য একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় বিভাগের শিক্ষার্থীরা শনিবার দুপুরে মানববন্ধনের ঘোষণা দিয়েছেন।

এদিকে, ঘটনা শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঘটলেও শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত এ ঘটনার কোনো খোঁজ পাননি শহীদ শামসুজ্জোহা হলের প্রোভোস্ট অধ্যাপক ড. জুলকারনাইন।

তিনি জানান, অনেক রাতে ঘটনা হওয়ায় জানতেন না। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান তিনি।

প্রক্টর অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান জানান, তিনি বর্তমানে ঢাকায় আছেন। ফেসবুক থেকে ঘটনা জেনেছেন। প্রাধ্যক্ষকে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সুপারিশ করবেন বলে জানান তিনি।