নতুন চালের আটায় পিঠা-পায়েস

নবান্নে নন্দীগ্রামে বসেছে মাছের মেলা

নন্দীগ্রাম উপজেলা (বগুড়া) সংবাদদাতা
প্রকাশ: ১৮ নভেম্বর ২০১৯ ০৯:২৯ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২৪২ বার।

নবান্ন উপলক্ষ্যে বগুড়ার নন্দীগ্রামে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা উৎসবে মেতেছেন। নতুন ধানের চাল দিয়ে তৈরি নানা নাম আর স্বাদের পিঠা ও পায়েস দিয়ে ঘরে ঘরে চলছে অতিথি আপ্যায়ন। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বসেছে মাছের মেলাও।
উপজেলার রণবাঘা ও ওমরপুর বাজারে রুই, কাতলা, মৃগেল, চিতল, সিলভার কার্প, বিগহেড, বাঘা আইড়, বোয়ালসহ হরেক রকমের মাছ কেনা-বেচা হচ্ছে। বড় সাইজের মাছগুলো বিক্রির জন্য বিক্রেতারা মাথার ওপর তুলে ধরে ক্রেতাদের আকর্ষণের চেষ্টা করছেন। 

উপজেলার নামুইট গ্রামের মাছ বিক্রেতা মিন্টু মিয়া বলেন, নবান্ন উৎসবকে ঘিরে অনেকে বাড়ির আশপাশের পুকুরে মাছ চাষ করে। বড় বড় মাছ নবান্ন বাজারে বিক্রি করতে আনেন। তাঁরা ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতাকে চিন্তা করে মাছের দাম কম রাখেন। 

মাছ বিক্রেতা মোকাব্বর হোসেন জানান, মাছের আকার ভেদে এক একটি মাছ ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। তবে ২০০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিগহেড ও সিলভার কার্প, রুই ও কাতলা বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৬০০ টাকা, চিতল ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা ও বোয়াল ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। 

উপজেলার দাসগ্রাম গ্রামের মাছ ক্রেতা বাদল চন্দ্র জানান, আমি রুই মাছ ৪৮০ টাকা কেজি, বিগহেড ৫৫০ টাকা কেজি ও চিতল ৯০০ টাকা কেজি দরে কিনেছি। মোট ৯৫০০ টাকার মাছ কিনেছি।  

মাছ কিনতে আসা নাটোর জেলার সিংড়ার মাসিন্দা গ্রামের অমর কুমার বলেন, বিগহেড, সিলভার কার্প, রুই ও কাতলা মাছের দাম ঠিক আছে। অন্য বছরের চাইতে এবার চিতল ও বোয়াল মাছের দাম একটু বেশী। তবে বাজারে বড় বড় মাছ দেখে মনটা বেশ খুশি।