স্ত্রীকে গণধর্ষণের পর স্বামীকে ডেকে এনে পিটিয়ে হত্যা

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ নভেম্বর ২০১৯ ১২:০৯ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৫৪ বার।

জামালপুরে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের পর তার স্বামীকে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষণের পর রক্তাক্ত ও মুমূর্ষু অবস্থায় ওই গৃহবধূকে রাতে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার ৩ দিন পর সোমবার রাতে গণধর্ষণের মামলা গ্রহণের পর শাওন নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। খবর সময় নিউজ
 

জামালপুর সদর উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর গ্রামের নির্যাতিত গৃহবধূর অভিযোগ, গত শুক্রবার রাতে ঘরের বাইরে গেলে সানোয়ার, শাওন ও মফিজ তাকে মুখ চেপে তুলে পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে নিয়ে গণধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর গৃহবধূকে বেঁধে রেখে তার স্বামী কাঠমিস্ত্রি খলিলকে খবর দেয় ধর্ষণকারীরা। খলিল স্ত্রীকে উদ্ধারের জন্য আসার পর তাকে পিটিয়ে হত্যা করে। পরে তার মরদেহ জঙ্গলের একটি গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে। 

এ ঘটনায় মামলা না নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। কিন্তু থানার ওসি সালেমুজ্জামান বলেছেন, গণধর্ষণ বা হত্যার কোনো বিষয়ই তারা অবগত নন। মরদেহ উদ্ধারের পর অপমৃত্যুর মামলা রুজু করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়। ঘটনার ৩ দিন পর সোমবার (১৮ নভেম্বর) রাতে গৃহবধূকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাতে জামালপুর সদর থানায় গৃহবধূ বাদী হয়ে গনধর্ষণকারী ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। পুলিশ আসামি শাওনকে গ্রেফতার করেছে।

জামালপুর থানার ওসি মো. সালেমুজ্জামান আরও বলেন, গণধর্ষণ ও স্বামীকে হত্যার কোনো অভিযোগ করা হয়নি। আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে তার স্বামী আত্মহত্যা করেছে। আমরা আত্মহত্যার মামলা নিয়েছি এবং মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়।

জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. হাসানুল বারী শিশির জানান, ভিকটিম যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর আলামতও পাওয়া গেছে। তার শরীর থেকে এখনও রক্ত ঝরছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে একাধিক রক্তাক্ত জখমের চিহ্ন রয়েছে।