খুলনায় তৃতীয় দিনের মতো বাস চলাচল বন্ধ, যাত্রীদের দুর্ভোগ

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২০ নভেম্বর ২০১৯ ১০:৩৪ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১১০ বার।

নতুন সড়ক আইন সংশোধন না করার প্রতিবাদে খুলনায় তৃতীয় দিনের মতো বাস চালকরা কর্মবিরতি পালন করছে। বুধবার অভ্যন্তরীণ রুটে সকাল থেকে বাস চলাচল কথা থাকলেও চালকরা বাস নিয়ে সড়কে নামেনি। খবর দেশ রুপান্তর অনলাইন

সকালে বাস চলবে এমন খবরে নগরীর সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল, রয়্যাল ও শিববাড়ির মোড়ে যাত্রীরা দূর-দূরান্তে যাত্রার উদ্দেশে আসলেও বাস না ছাড়ায় তাদের চরম বিপাকে পড়তে হয়।

এদিকে, পরিবহন ধর্মঘট নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের বৈঠকে নেওয়া অভ্যন্তরীণ রুটে বাস চলাচলের সিদ্ধান্ত ভেস্তে গেছে। খুলনা সার্কিট হাউসে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দুই পক্ষের আলোচনা শেষে মধ্যস্থতার মাধ্যমে পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতারা চলমান কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে আজ বুধবার সকাল থেকে বাস চালানোর কথা দিলেও তা বাস্তবায়ন করেনি।

বৈঠকের পর বাস কেন চলছে না এমন প্রশ্নের জবাবে খুলনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. নুরুল ইসলাম বেবী বলেন, চালকরা কেউ গাড়ি চালাতে চাচ্ছে না। ভোর সাড়ে ৬টায় সোনাডাঙ্গা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে এসে চালকদের গাড়ি চালাতে অনুরোধ করা হলেও তারা তাতে রাজি হচ্ছেন না। চালকরা বলছেন, দুর্ঘটনা ঘটলে সব জরিমানা আপনি দেবেন- এমন লিখিত দিলে আমরা গাড়ি চালাব।

এদিকে খুলনা শহর থেকে দূর পাল্লার কোন বাস না ছাড়লেও রূপসা-মোংলা, রূপসা-বাগেরহাটসহ বেশ কিছু রুটে বাস চলাচল করছে বলে জানা গেছে।

সকাল সকাল ১০টার দিকে দিকে নগরীর সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনালে আসেন গোপালগঞ্জ যাওয়ার জন্য ফরিদা আক্তার। তিনি বলেন, গত রাতে শুনলাম আজ গাড়ি চলবে। এখন শুনছি আজও বাস চলাচল করবে না। গত তিন দিন ধরে খুলনায় আটকে আছি। এখন কি যে করি, শুধু তাই ভাবছি।

অপর যাত্রী মারুফ হোসেন বলেন, কুষ্টিয়া যাব বলে প্রায় আড়াই ঘণ্টা সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনালে এসে বসে আছি। এতো দূরের পথ কিভাবে যাব তা বলতে পারছি না।

এদিকে পরিবহন ধর্মঘটের সুযোগে ইঞ্জিনচালিত স্থানীয় যান মাহিন্দ্র মিনি পিকআপ, মাইক্রোবাসসহ ছোট গাড়িগুলো কয়েকগুণ ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে। এসব পরিবহনে ঝুঁকি নিয়ে যাত্রীরা গন্তব্যে যাচ্ছেন।

পরিবহন ধর্মঘটের কারণে সড়ক পথে চলাচল বন্ধ থাকায় ট্রেনে উপচে পড়া ভিড় হচ্ছে। খুলনা রেলওয়ে স্টেশনে টিকিটের জন্য ঘণ্টার ঘণ্টার অনেকে অপেক্ষা করছেন। সিট না পেয়ে অনেকে দাঁড়িয়ে যাচ্ছেন ট্রেনে।