দুর্নীতির অভিযোগকে ‘ক্যু’র চেষ্টা বললেন নেতানিয়াহু, পদত্যাগে অস্বীকৃতি

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ নভেম্বর ২০১৯ ০৩:৫১ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৩১ বার।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আনা একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।

আলজাজিরা জানায়, বৃহস্পতিবার দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল অভিচাই ম্যানডেলব্লিট এক বিবৃতিতে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ঘুষ, জালিয়াতি ও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ আনেন।

দেশটির ইতিহাসে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা অবস্থায় প্রথম ব্যক্তি হিসেবে এমন অভিযোগের মুখোমুখি হলেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

তবে সব ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করে নেতানিয়াহু বলেন, ‘এসব অভিযোগ মিথ্যা ও রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

তদন্তকারীরা সত্যের ওপরে নেই। ’ 

আনুষ্ঠানিক এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি দাবি করেন, এসব অভিযোগ তার বিরুদ্ধে ‘ক্যু’র প্রচেষ্টা। এই মুহূর্তে পদত্যাগ করতে ইচ্ছুক নন তিনি।

নেতানিয়াহু তার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সমালোচনা করেন সেই সঙ্গে পুলিশ ও বিচার বিভাগের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ আনেন।

তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তকারীদের বিরুদ্ধেই তদন্ত চালানোর দাবি তোলেন নেতানিয়াহু।

আদালতের চাপ সত্ত্বেও পদত্যাগে অস্বীকৃতি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে যাব। আমি মিথ্যাকে জয়ী হতে দেব না। ’

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তার পক্ষে সংবাদ প্রচারের জন্য বেশ কয়েকটি শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে দিয়ে লাখ লাখ ডলার খরচ করেছেন। অবৈধ সুবিধা পাইয়ে দিতে দেশটির একটি শীর্ষ মিডিয়া প্রতিষ্ঠান থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ গ্রহণের অভিযোগও আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।

এ ছাড়া রাজনৈতিক সুবিধা পাইয়ে দিতে এক হলিউড প্রযোজকের কাছ থেকে নেতানিয়াহু ও তার স্ত্রী সারা নেতানিয়াহু ঘুষ নিয়েছিলেন। এক অস্ট্রেলীয় বিলোনিয়ার থেকেও ঘুষ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে।

ঘুষের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে নেতানিয়াহুর সর্বোচ্চ ১০ বছর সাজা হতে পারে। জালিয়াতি ও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ তিন বছরের সাজা হতে পারে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর ।