সৌদি‌ থেকে শূন্য হাতে দেশে ফিরলেন আরও ১২৫ রেমিট্যান্স যোদ্ধা

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ নভেম্বর ২০১৯ ১৫:০৯ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১০৩ বার।

সৌদি‌ আরব থেকে আরও ১২৫ বাংলাদেশি কর্মী শূন্য হাতে দেশে ফিরেছেন। এ নিয়ে নভেম্বর মাসের তিন সপ্তাহে মোট ২ হাজার ৬১৫ বাংলাদেশি দেশে ফিরলেন।

শুক্রবার রাত ১১টা ২০ মিনিটে সৌদি এয়ারলাইনসের এসভি ৮০৪ বিমানে দেশে ফেরেন তারা। প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের সহযোগিতায় ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম থেকে তাদের খাবার-পানিসহ নিরাপদে বাড়ি পৌঁছানোর জন্য জরুরি সহায়তা প্রদান করা হয়।

বিমানবন্দরের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক ও ব্র্যাকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১০ মাসে সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছেন ২১ হাজার বাংলাদেশি।

ভুক্তভোগী নারায়ণগঞ্জ আড়াইহাজারের আফজাল (২৬) জানান, মাত্র আড়াই মাস আগে ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা খরচ করে সৌদি আরবে গিয়েছিলাম। ভাগ্য এতটাই খারাপ যে রুম থেকে বাজার করার জন্য বের হলে পথ থেকে ধরে কাজের বৈধ অনুমোদন (আকামা) থাকলেও দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হলো।  

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কামরুলও ৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা খরচ করে আড়াই মাস আগে গিয়েছিলেন সৌদি, কিন্তু তাকেও দেশে ফিরতে হয়েছে শূন্য হাতে।

দুই বছর ধরে সেলুনে কাজ করতেন কুমিল্লার নন্দন কুমার। আকামার মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্বেই কফিলকে (নিয়োগকর্তা) সাড়ে ছয় হাজার রিয়াল দিয়েছিলেন, কিন্তু আকামা আর করে দেয়নি নন্দনকে। পুলিশের হাতে নন্দন গ্রেপ্তার হলে কফিলকে ফোন দেন নন্দন, কিন্তু কফিল আর তার দায় দায়িত্ব নেয়নি। পরে শূন্য হাতেই দেশে ফিরতে হলো নন্দনকে।

একইরকম পরিস্থিতির শিকার হয়ে দেশে ফিরতে হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মন্টু মিয়া, সাইদুল ইসলাম, নরসিংদীর নাইম, হবিগঞ্জের ফারুক হোসেন, ঢাকার সাইফুল ইসলামসহ আরও অনেককে।

ব্র্যাক অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান জানান, চলতি বছ‌র এখন পর্যন্ত ২২ হাজার বাংলাদেশিকে সৌদি আরব থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। চল‌তি মাসের তিন সপ্তায় ফিরেছেন ২ হাজার ৬১৫ জন। প্রায় সবাই খালি হাতে ফিরেছেন। যারা কয়েক মাস আগে গিয়েছিলেন তাদের কেউই খরচের টাকা তুলতে পারেননি। তারা সবাই ভবিষ্যৎ নিয়ে এখন দুশ্চিন্তায়।

তিনি আশা করেন, তিন দিন পর‌ সৌ‌দি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের যৌথ বৈঠক নারী কর্মীদের পাশাপাশি পুরুষদের বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হবে। বিশেষ করে ফ্রি ভিসার নামে প্রতারণা বন্ধ করতে কাজ করতে হবে দুই দেশকে।

সূত্র: ইউএনবি।