রাজশাহীতে একই লাইনে দুই ট্রেন, বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ নভেম্বর ২০১৯ ১৪:০৬ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৩৯ বার।

রাজশাহীর বাঘায় একই রেললাইনে উঠে পড়েছিল দুটি ট্রেন। চালকের দক্ষতায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে ট্রেন দুটিতে থাকা প্রায় এক হাজার যাত্রী। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহীর আড়ানী রেলওয়ে স্টেশনে এই ঘটনা ঘটে। এসময় উভয় ট্রেনের যাত্রীরা আতংকিত হয়ে পড়েছিলেন।

বাঘার আড়ানী রেল স্টেশন সূত্রে জানা যায়, রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা ঈশ্বরদীগামী সিক্স ডাউন মেইল ট্রেনটি আড়ানী রেল ষ্টেশনে দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় খুলনা থেকে ছেড়ে আসা কপোতাক্ষ আন্তঃনগর ট্রেনটি রাজশাহীর উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। এই ট্রেনটি (কপোতাক্ষ আন্তনগর) প্রবেশ করার জন্য ২ নম্বর লাইন ক্লিয়ার দেওয়ার কথা থাকলেও, ক্লিয়ার ছিল ১ নম্বর লাইন। ফলে ১ নম্বর লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনটির মুখোমুখি হয় কপোতাক্ষ আন্তঃনগর ট্রেনটি। এসময়  কপোতাক্ষ আন্তঃনগর ট্রেনের চালক রুহুল আমিন সিরাজ স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনটি দেখতে পেয়ে মুখোমুখি হওয়ার ১৫ গজ দূরে থামিয়ে দেন। ফলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায় ট্রেন দুটির যাত্রী। খবর সমকাল অনলাইন 

পয়েন্টম্যানের ভুলে এ ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেন আড়ানী স্টেশনের স্টেশন মাস্টার একরামুল হক। আড়ানী ষ্টেশনের পয়েন্টম্যান রওশন আলী বলেন, পয়েন্ট ঠিক করতে যাওয়ার আগেই কপোতাক্ষ আন্তঃনগর ট্রেন আড়ানী স্টেশনের একই লাইনে ঢুকে পড়ে। নিজে অসুস্থ থাকায় দ্রুত পয়েন্ট ঠিক করতে পারেননি।

কপোতাক্ষ আন্তঃনগর ট্রেনের চালক রুহুল আমিন সিরাজ বলেন, আড়ানী ষ্টেশনে কপোতাক্ষ আন্তঃনগর ট্রেনটি সাধারণত বিরতি নেয় না। নিয়ম অনুযায়ী ট্রেন চলছিল। আড়ানী রেল ষ্টেশনের পূর্ব দিকের পয়েন্ট পার হওয়ার পর দেখেন একই লাইনে আরেকটি ট্রেন দাঁড়িয়ে আছে। তা দেখে কৌশলে ট্রেনটি থামিয়ে দেন। 

সিক্স ডাউন ট্রেনের চালক রাজু আহম্মেদ বলেন, ওই ট্রেনটি আসার আগেই স্টেশনে তার ট্রেন দাঁড়িয়ে ছিল। তবে লাইন ক্লিয়ার না পেয়ে সেই লাইন দিয়ে আরেকটি ট্রেন ঢুকে পড়ে। ফলে ট্রেনের যাত্রীদের মধ্যে আতংক দেখা দেয়।

কপোতাক্ষ আন্তঃনগর ট্রেনের পরিচালক আবুল হোসেন বলেন, প্রায় ৩৩ মিনিট পর ট্রেনটি পেছনের দিকে ব্যাক করে ২ নম্বর লাইন দিয়ে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে রওনা হয়। 

বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, ঘটনা জানার পর তাৎক্ষণিকভাবে ফোর্স নিয়ে আড়ানী ষ্টেশনে যান। যাত্রীদের মধ্যে আতংক দেখে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।