‘বালিশ ও পর্দা কাণ্ডের মতো বিদ্যুতের মিটারেও দুর্নীতি’

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০২ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৩:৫২ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১২৮ বার।

বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যয় ২০২০ সালে ১ টাকা ২৪ পয়সা করার প্রস্তাব দিয়েছে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি)। অন্যদিকে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি ৮৭ পয়সা করার প্রস্তাব দিয়েছে। খবর দেশ রুপান্তর অনলাইন

সোমবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারের টিসিবি অডিটোরিয়ামে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ওপর গণশুনানিতে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়। শুনানিতে কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক শামসুল আলম বলেন, বালিশ ও পর্দা কাণ্ডের মতো বিদ্যুতের মিটারেও দুর্নীতি হচ্ছে।

ডিপিডিসির পক্ষে প্রস্তাব উপস্থাপন করেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান। বিইআরসির চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম, সদস্য মিজানুর রহমান, রহমান মুরশেদ ও মাহমুদউল হক ভূঁইয়া শুনানি পরিচালনা করেন। শুনানিতে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, সিপিবির সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, মোবাইল ফোন গ্রাহক সমিতির সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদসহ কয়েকজন ভোক্তা দাম বাড়ানোর বিরোধিতা করে বক্তব্য দেন।

ডিপিডিসির প্রস্তাবে বিদ্যুতের বিতরণ ব্যয় ২০২০ সালে ৪১ পয়সা বাড়িয়ে ১ টাকা ২৪ পয়সা করতে বলা হয়েছে, যার শতকরা হার ৪৯ শতাংশেরও বেশি। বর্তমানে বিতরণ ব্যয় ৮৩ পয়সা। অন্যদিকে বিইআরসির কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি বিতরণ ব্যয় ৪ পয়সা বাড়িয়ে ৮৭ পয়সা করার প্রস্তাব দিয়েছে।

বিতরণ ব্যয় বাড়ানোর কারণ হিসাবে ডিপিডিসি জানায়, অবচয়, সম্পদের পরিবৃদ্ধি, জনবল বৃদ্ধি, পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ এবং ফিন্যান্সিয়াল ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। ডিপিডিসির লোড বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে নতুন নতুন অবকাঠামো উন্নয়ন, সঞ্চালন ও বিতরণ লাইন নির্মাণ, নতুন সাব স্টেশন নির্মাণ ও পুরোনো সাব স্টেশনের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে।

দাম বাড়ানোর বিরোধিতা করে ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক শামসুল আলম ডিপিডিসির শুনানিতে বলেন, যেই অবচয়ের কারণে খচর বাড়ছে সেটা অনেকাংশে মিটারিং সিস্টেমের সঙ্গে সম্পর্কিত। আমরা আগেও বলেছি এখনো বলছি মিটারের দাম নিয়ে বিইআরসিকে নজর দিতে। এখন ডাবল লাইনের যে সিস্টেম চালু করা হচ্ছে এটাও খরচ বৃদ্ধির কারণ। ডাবল লাইনের পরেও মানুষ নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না।