আবরার হত্যা মামলার ৪ আসামির সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০১৯ ১১:৩১ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১১২ বার।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার পলাতক চার আসামির সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম কায়সারুল ইসলাম এ নির্দেশ দেন। এ সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৫ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত। খবর দেশ রুপান্তর 

এ চার আসামি হলেন- মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম, মোর্শেদ অমত্য ইসলাম ও মোস্তবা রাফিদ।

আজ চার আসামির গ্রেপ্তার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তাদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি বলে পুলিশের প্রতিবেদনের পর মামলার পরবর্তী কার্যক্রম হিসেবে আসামিদের বিরুদ্ধে সম্পত্তি ক্রোকের পরোয়ানা জারি করা হয়।

চকবাজার থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মাজহারুল ইসলাম বাসসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে ১৮ নভেম্বর পলাতক চার আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম কায়সারুল ইসলাম।

গত ১৩ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান। অভিযুক্ত ২৫ জনের মধ্যে এজাহারভুক্ত ১৯ জন এবং এজাহারবহির্ভূত ছয়জন।

এজাহারভুক্ত ১৯ জনের মধ্যে ১৬ জন ও এজাহারবহির্ভূত ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে আটজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে ‘শিবির সন্দেহে’ পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার মাঝামাঝি সিঁড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

একাধিক শিক্ষার্থী ও এক পুলিশ কর্মকর্তা দেশ রূপান্তরকে জানান, হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে হামলাকারীদের নির্মম নির্যাতনের মুখে আবরার দুবার বমি করেন। সঙ্গে প্রস্রাবও করেন।

ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বুয়েট শাখার ১১ জন নেতাকর্মীকে স্থায়ী বহিষ্কার করে ছাত্রলীগ। পরে চার্জশিটভুক্ত ২৫ আসামিকে ক্যাম্পাস থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সহপাঠীদের অভিযোগ, ফেনী নদীর পানি বণ্টন ও বন্দর ব্যবহারসহ ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন চুক্তির সমালোচনা করে ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় শিবির সন্দেহে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।