বিনা প্ররোচনায় গুলি করে হত্যা করা হয় ১৭ আদিবাসীকে

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৬:৫০ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৬৪ বার।

ভারতের ছত্তিশগড়ে মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকায় ১৭ জন আদিবাসীকে সম্পূর্ণ বিনা প্ররোচনায় গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়েছিল।

একটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে প্রায় সাড়ে সাত বছর আগের ওই ঘটনার সত্যতা উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বিবিসি বাংলা জানায়, সারকেগুডা গ্রামের ওই ঘটনাটিকে এনকাউন্টার বা সংঘর্ষের ঘটনা বলে সাজানোর চেষ্টা হয়েছিল। যদিও বাস্তবে গ্রামবাসীদের দিক থেকে সেদিন কোনো প্রতিরোধই ছিল না।

ভারতের মানবাধিকার আইনজীবী ও অ্যাকটিভিস্টরা বলছেন, এই প্রথম ভারতের কোনো সরকারি তদন্ত কমিশন মাওবাদী এলাকায় সরকারি নিরাপত্তা বাহিনীর দিকে আঙুল তোলার সাহস দেখাল।

অবশ্য ভারতের বেশির ভাগ সংবাদমাধ্যমই এই রিপোর্ট নিয়ে সম্পূর্ণ নীরব বলে জানায় বিবিসি। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ছাড়া ভারতের প্রথম সারির কোনো সংবাদপত্র বা টিভি চ্যানেলই এই তদন্ত রিপোর্ট নিয়ে একটি শব্দও খরচ করেনি।

জানা গেছে, ভারতে মাওবাদী বিদ্রোহীদের ঘাঁটি বলে পরিচিত বস্তারের বিজাপুর জেলার গ্রাম সারকেগুডাতে ২০১২ সালের জুন মাসে ১৭ জন আদিবাসী নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হন। নিহতদের মধ্যে ছয়টি শিশুও ছিল।

ওই ঘটনায় বিচারপতি ভি কে আগরওয়ালের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়। ওই কমিশনের রিপোর্ট সদ্যই ছত্তিশগড় সরকারের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। এতে সরাসরি হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত করা হয়েছে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী সিআরপিএফ ও রাজ্য পুলিশকে।

স্বচক্ষে ওই প্রতিবেদন দেখা বস্তারের সিপিআই নেতা মনীশ কুঞ্জম বলেন, ‘কমিশন মেনে নিয়েছে, যে ওই নিরীহ আদিবাসীরা সন্ধ্যায় গ্রামের মাঝখানে একসঙ্গে বসে গ্রামেরই নানা বিষয় নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করছিলেন। তখনই তাদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালানো হয়।’

তিনি বলেন, ‘এই রিপোর্টের বিশেষত্ব হলো- আমি এত বছর ধরে এই অঞ্চলে রাজনীতি করছি, এই প্রথম কোনো তদন্ত রিপোর্টের রায় গ্রামবাসীদের পক্ষে গেল, আসল সত্যিটা কী ঘটেছে সেটা তুলে ধরতে দেখলাম।’

রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ওই গ্রামবাসীরা যে মাওবাদী ছিল তার কোনো প্রমাণ মেলেনি। আর তাদের গুলিও চালানো হয়েছিল খুব কাছ থেকে- সম্ভবত একেবারে ঠান্ডা মাথায়।