বগুড়ায় নানা আয়োজনে জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস পালিত

অসীম কুমার কৌশিক
প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৭:১০ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৯৩ বার।

আন্তর্জাতিক এবং জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে বগুড়ায় র‍্যালি, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯ টায় এ উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে এক বর্ণাঢ্য র‍্যালী বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘অভিগম্য আগামীর পথে’।
জেলা প্রশাসন ও সমাজসেবা কার্যালয়সহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের আয়োজনে এসময় ওই র‍্যালিতে বগুড়া জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা এবং ৮ টি প্রতিষ্ঠানের শতাধিক বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। র‍্যালি শেষে বগুড়া জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভা এবং রচনা ও চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- বগুড়ার প্রয়াস, গাবতলী উপজেলার করিমপাড়া অটিস্টিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়, মূক বধির বিদ্যালয়, বগুড়া মালতিনগর অটিস্টিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়, শাজাহানপুর বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়, মহাস্থান শাহ সুলতান বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়, ঠেঙ্গামারা অটিস্টিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় এবং বারপুর বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়। 

জেলার সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক আবু সাঈদ মোঃ কাওছারের সভাপতিত্বে ওই আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা মর্জিনা আক্তার বেগম। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাসুম আলী বেগ বলেন, প্রতিবন্ধীতার জন্য শিশুরা দায়ী নয়। তাই সকলের সাথে তাদের মেশার সুযোগ দিতে হবে। আর তাদের প্রতিবন্ধী না বলে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু বলতে হবে। এতে তারা মনে কষ্ট পাবে না। তিনি আরও বলেন, গর্ভকালীন সময়ে মায়ের অসচেতনতার জন্যই বেশিরভাগ বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুর জন্ম হয়। তাই এসময় পিতা-মাতার অবশ্যই সচেতন হতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চলতে হবে।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় ওই আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম, টিএমএসএসের সহকারি পরিচালক খোরশেদ আলম বগুড়া অন্ধ সংস্থার সভাপতি মীর মোরশেদ আলী, এবং প্রয়াসের উপাধ্যক্ষ ফিরোজ আহম্মেদ।

এসময় বক্তারা বলেন, 'আগে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের সমাজের বোঝা মনে করা হতো। কিন্তু এখন দিন বদলে গেছে। তারা সমাজের বোঝা নয়। বরং তাদের জন্য বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কারিগরি শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফলে তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে। সেই সাথে তারা এখন দেশের উন্নয়নেও ভুমিকা রাখছে।'

বক্তারা আরও বলেন, 'বর্তমান সরকার বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের জন্য অনেক কার্যক্রম হাতে নিয়েছেন। সেগুলো বাস্তবায়নও হচ্ছে।'

আলোচনা সভা শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়।