বগুড়ায় ছাদ থেকে লাফিয়ে ৩য় শ্রেণির ছাত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টা

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০১৯ ১২:২৭ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৩৮২ বার।

বগুড়ার শেরপুরে মাদ্রাসার পাঁচতলা ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে তৃতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রী আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। ওই ছাত্রীর নাম জান্নাতি খাতুন (১২)। সে ধুনট উপজেলার গোসাইবাড়ী ইউনিয়নের জোরখালী মধ্যপাড়া গ্রামের মিলন রহমানের মেয়ে।

সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে পৌরশহরের ধুনটমোড়ে শেখ হাফিজার প্লাজায় অবস্থিত হযরত ফাতেমা (রা:) বালিকা মাদ্রাসায় এই ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে মেয়েটি শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা হলেও এখনও তার জ্ঞান ফেরেনি। মস্তিষ্কে গুরুতর আঘাতের কারণে ‘মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে’ মেয়েটি। তবে ওই মাদ্রাসা ছাত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টা চালানোর কারণ জানা যায়নি।

তবে ঘটনাটি সম্পর্কে জানতে চাইলে ওই ছাত্রীর বাবা মিলন রহমান কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি।

পুলিশ ও মাদ্রাসা পরিচালনায় সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০১৬ সালে উপজেলার শাহ বন্দেগী ইউনিয়নের হামছায়াপুর গ্রামের বাসিন্দা মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন ওই ভবনের তৃতীয় ও চতুর্থ তলা ভাড়া নিয়ে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর থেকে তিনিসহ নিকট স্বজনদের নিয়ে কওমী ও আলীয়া মাদ্রাসার পৃথক সিলেবাস অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করে আসছেন। তাই চলতি বছরের গত ৩০নভেম্বর গার্মেন্টস্ কর্মী মিলন রহমান তার মেয়েকে ওই মাদ্রাসায় তৃতীয় শ্রেণীতে ভর্তি করে দেন।

একইসঙ্গে মাদ্রাসার আবাসিক হোটেলে রাখেন। কিন্তু এই প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করতে চায় না বলে জানায় মেয়েটি। এরপরও অনেকটা জোরপূর্বক তাকে মাদ্রাসার ওই বোর্ডিংয়ে রাখা হয়। এতে ক্ষোভ ও অভিমান করে ঘটনার রাতে মাদ্রাসা ভবনের পাঁচতলার ছাদ থেকে ঝাপ দিয়ে ছাত্রী জান্নাতি আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছে বলে তারা জানান।

এদিকে অচেতন অবস্থায় ওই ছাত্রীকে ভবনের নিচে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন প্রথমে প্রথমে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে তাৎক্ষণিক তাকে বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, সপ্তাহখানেক আগে মেয়েটি তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়। তবে ঘটনার কারন বুঝতে পারছেন না বলে জানান তিনি।

শেরপুর থানার ওসি হুমায়ুন কবির বলেন, 'খবর পাওয়া মাত্র পুলিশ পাঠিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়। পাশাপাশি চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়। তবে এ বিষয়ে এখনও কোন লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।'