আমি ডাক্তার নই: কৃষিমন্ত্রী

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৩:৫০ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৭২ বার।

বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা প্রতিবেদন সম্পর্কে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আমি ডাক্তার নই। এ ব্যাপারে বলতে পারবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসকরা। সেখানকার চিকিৎসকরা যে সিদ্ধান্ত দেবেন সেটাই চূড়ান্ত। খবর দেশ রুপান্তর 

বুধবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল পৌরসভা আয়োজিত পাঁচ দিনব্যাপী টাঙ্গাইল পাকিস্তানি হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের প্রথম দিন প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত যে সব রাজনৈতিক দলের ঘোষণাপত্রে জয় বাংলা স্লোগান থাকবে না তাদের নিবন্ধন বাতিল হওয়া উচিত। কারণ, মুক্তিযুদ্ধের সময় জয় বাংলা ছিল আমাদের রণধ্বনি। এ স্লোগান দিয়ে যুদ্ধ করে আমরা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে বিজয় অর্জন করেছি।

তিনি বলেন, হাইকোর্ট জয় বাংলাকে জাতীয় স্লোগান হিসেবে ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন। তাই নির্বাচন কমিশনের উচিত নিবন্ধিত দলগুলোকে চিঠি দিয়ে তাদের ঘোষণাপত্রে জয় বাংলা স্লোগান অন্তর্ভুক্ত করতে বলা।

শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে মুক্তদিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় কৃষিমন্ত্রী বলেন, নয় মাস যুদ্ধ শেষে ১১ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা টাঙ্গাইলকে হানাদার মুক্ত করেছিলেন। সেই যুদ্ধে একজন কোম্পানি কমান্ডার হিসেবে তিনি আগের দিন রাতে টাঙ্গাইল শহরে প্রবেশ করেন এবং সেখানে স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেছিলেন।

পৌরসভার মেয়র জামিলুর রহমান মিরনের সভাপতিত্বে সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম (ভিপি জোয়াহের) এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. ছানোয়ার হোসেন এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক তানভীর হাসান ছোট মনির এমপি, খন্দকার মমতা হেনা লাভলী এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আশরাফুজ্জামান স্মৃতি, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান আনছারী, মুক্তিযুদ্ধকালীন কাদেরিয়া বাহিনীর প্রশাসক আবু মোহাম্মদ এনায়েত করিম, পৌরসভার প্যানেল মেয়র সাইফুজ্জামান সোহেল প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেন।

আলোচনা সভা শেষে ভারতের শিল্পী মিতালী মুখার্জী গান পরিবেশন করেন।

এর আগে সকালে মুক্তদিবস উপলক্ষে শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যান থেকে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। এতে মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।