ভালোবাসায় সিক্ত হতে প্রস্তুত জাতীয় স্মৃতিসৌধ

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৩:০০ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১০৬ বার।

১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন। পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্তির দিন। এদিন বিশ্বের মানচিত্রে সৃষ্টি হয় নতুন একটি সার্বভৌম দেশ বাংলাদেশ। যা বাঙ্গালি জাতিকে এনে দেয় আত্মপরিচয়ের ঠিকানা। খবর যুগান্তর অনলাইন 

যারা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে এ বিজয় আর বাঙ্গালি জাতির সবচেয়ে আনন্দের দিন ছিনিয়ে এনে দিয়েছে সেই সব শহীদকে বিনম্র শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় স্মরণ করবে দেশের সর্বস্তরের মানুষ। তাই প্রতিবারের মতো এবারও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় সিক্ত হতে পুরোপুরি প্রস্তুত সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ।

জাতির গৌরব আর অহংকারের এ-দিনটিতে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে নামবে লাখো মানুষের ঢল। তাদের হৃদয় নিংড়ানো শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় ফুলে ফুলে ভরে উঠবে শহীদ বেদি। দিবসটি উপলক্ষে গণপূর্ত বিভাগের কর্মীদের টানা কয়েকদিনের অক্লান্ত পরিশ্রমে এক নতুন রূপ ধারণ করেছে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ। লাল-সবুজের আভায় সেজেছে পুরো স্মৃতিসৌধ এলাকা।

সাভার গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, টানা কয়েক দিন ব্যাপক কর্মযজ্ঞ আর পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা শেষে স্মৃতিসৌধ সেজেছে ভিন্নরূপে। অন্যবারের তুলনায় মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে এবার স্মৃতিসৌধকে নতুন আঙ্গিকে সাজানো হয়েছে।

শেষ করা হয়েছে ধোয়ামোছা ও রং তুলির কাজ। স্মৃতিসৌধের বিভিন্ন ধাপে রং তুলির আঁচড়ের আলপনায় অপরূপ সাজে সাজানো হয়েছে। স্মৃতিসৌধ মিনারের সম্মুখ ভাগে হেরিংবন্ড ধরে নিচু জায়গাগুলোতে সবুজ ঘাসের মধ্যে শোভা পেয়েছে লাল, নীল, হলুদ, বেগুনিসহ নানা রঙের ফুল গাছের চারা। যা প্রতিবারের মতো এবারও সৌধ এলাকাকে এনে দিয়েছে রঙিন ও বর্ণিল রূপ।

ঢাকার জেলার পুলিশ সুপার মারুফ সরদার বলেন, অন্যবারের তুলনায় এবার দিগুণ নিরাপত্তার নেয়া হয়েছে। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের দু’পাশ ও ব্রিজসহ বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি বসানো হয়েছে বাড়তি পুলিশী চেকপোস্ট।

এছাড়াও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিতসহ বাড়ানো হয়েছে সার্বক্ষণিক গোয়েন্দা নজরদারি। সাভারের আমিনবাজার থেকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত কয়েকটি স্তরের নিরাপত্তাবলয় গড়ে তোলা হয়েছে।

১৬ ডিসেম্বরের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও বিদেশি কূটনীতিকদের শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদনের পর তা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হবে বলে জানান তিনি।