ঢাবিতে ভিপি নুরের সমাবেশে হামলা

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৩:০১ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১০৩ বার।

ভারতের বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুরের সংহতি সমাবেশে হামলা চালিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশ।

মঙ্গলবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে বর্হিবিশ্বের বিষয়ে আন্দোলনের এখতিয়ার নুরের নেই দাবি করে এ হামলা করেন তারা। এসময় নুরের অনুসারীরা পাল্টা আঘাত করলে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। খবর সমকাল অনলাইন 

এদিকে সমাবেশে হামলা ও ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে বুধবার বেলা ১২টায় সারাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন ভিপি নুর।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল ৪টার দিকে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ভারতের বিতর্কিত ও সাম্প্রদায়িক বিভেদের নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত ভারতীয়দের প্রতি সংহতি জানিয়ে সমাবেশ ডাকেন ভিপি নুর। তবে সমাবেশ শুরুর আগেই রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান নেন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক আল মামুনসহ বেশ কয়েকজন।

পৌনে ৪টার দিকে ভিপি নুরসহ তার সংগঠন ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ'র নেতাকর্মীরা ব্যানার নিয়ে দাঁড়াতে গেলে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীরা বাধা দিলে উভয়পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে মঞ্চের সভাপতি বুলবুল হামলা চালান। এসময় সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতাকর্মীরাও পাল্টা আঘাত করেন। এতে উভয়পক্ষের ছয়জন আহত হন। আহতদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

হামলার বিষয়ে নুরুল হক নুর বলেন, ভারতীয়দের পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশে পাঠানোর চক্রান্ত চলছে। বাংলাদেশের ছাত্র সমাজ বিতর্কিত এই আইনের বিরুদ্ধের প্রতিবাদ করতে মিলিত হয়েছি। কিন্তু এসময় ভারতের দালাল বিজেপির এজেন্ট সন্ত্রাসী মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ আমাদের ওপর হামলা করেছে। তারা বাংলাদেশকে ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদ প্রতিষ্ঠা করতে চায়।’

এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন বলেন, ‘ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে আন্দোলন করার এখতিয়ার নুরের নেই। ডাকসুর ভোটার হিসেবে তাকে জিজ্ঞাসা করেছি সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার নিয়ে কথা না বলে কেন অন্য দেশের ইস্যু নিয়ে কথা বলছে। তখন তারা আমাদের ওপর হামলা করে। পরে আমরা প্রতিহত করেছি।’