ভুলকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখুন: প্রধানমন্ত্রী

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৩:৪০ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৩৪৯ বার।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত রাজাকারের তালিকা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এটা কোনোভাবেই রাজাকারের তালিকা নয়। মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের দেয়া রাজাকারের তালিকায় কীভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের নাম গেলো তা রহস্যজনক। মুক্তিযোদ্ধাদের কোনোভাবেই রাজাকারের খেতাব দেওয়া যেতে পারে না। এটা নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে। এটা খুব খারাপ কাজ হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের যারা কষ্ট পেয়েছেন, তারা কষ্ট পাবেন না। ভুলকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখুন। খবর সমকাল অনলাইন 

বুধবার সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে সূচনা বক্তব্যে দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। বৈঠকে সভাপতিত্ব করছেন শেখ হাসিনা।

সবাইকে ধৈর্য্য ধরার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি জানি রাজাকারের তালিকায় যাদের নাম এসেছে, তাদের কী পরিমাণ কষ্ট হয়েছে। সেটাই স্বাভাবিক। তাই যেসব মুক্তিযোদ্ধার নাম তালিকায় এসেছে, আমি বলব আপনারা একটু শান্ত হোন। যারা কষ্ট পেয়েছেন, দুঃখ পেয়েছেন- তাদের দুঃখ পাওয়ার কিছু নাই। যারা মুক্তিযোদ্ধা তারা আমাদের কাছে সর্বজন শ্রদ্ধেয়। এর কোনো ব্যত্যয় হবে না। যারা মুক্তিযোদ্ধা তারা কোনোদিনও রাজাকারের তালিকায় থাকতে পারে না। এটি হতে পারে না। এগুলো আমরা ঠিক করে ফেলব। সরকার প্রধান হিসেবে আমারও দায় আছে। আরো শক্তভাবে দেখা দরকার ছিল।

আওয়ামী লীগ সভাপতি আরও বলেন, আমি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীকে বলেছিলাম, তালিকাগুলো নিয়ে ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করতে হবে। এত তাড়াতাড়ি এটি প্রকাশ করার কথা না। তাও বিজয় দিবসের আগে। এত সুন্দর বিজয় দিবস উদযাপন করলাম, কিন্তু শহীদ পরিবার, মুক্তিযোদ্ধা পরিবার এতে কষ্ট পেয়েছে। তালিকাটি সময় নিয়ে প্রকাশ করা দরকার ছিল। আসলে আমিও ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম সবদিক সময়মতো খেয়াল রাখতে পারিনি। এখন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে নতুন করে ঠিক করার জন্য।