পরকীয়া সন্দেহে স্বামীর পুরুষাঙ্গ কর্তন!

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৩:১৬ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৮৪ বার।

বরগুনার তালতলীতে পরকীয়া সন্দেহে এক স্ত্রী ধারালো চাকু দিয়ে তার স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার রাত আড়াইটার দিকে নিশানবাড়ীয়া ইউনিয়নের নলবুনিয়া গোড়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ওই ব্যক্তির নাম মাহতাব (৪০)। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মাহতাব আগাপাড়া নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। খবর সমকাল অনলাইন 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নলবুনিয়া গোড়াপাড়া গ্রামের মাহতাবের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী আগাপাড়া গ্রামের আয়েশা বেগমের (৩০) ২০০৭ সালে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের এক যুগ অতিবাহিত হলেও কোনো সন্তান না হওয়ায় তাদের সংসারে অশান্তি চলছিল। সম্প্রতি মাহতাব পরকীয়ায় জড়িয়েছেন বলে সন্দেহ করছিলেন আয়েশা। এর জের ধরে রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে ঘুমন্ত মাহতাবের পুরষাঙ্গ কাটা হয়। এ সময় মাহতাব চিৎকার করতে থাকলেও তার স্ত্রীকে ঘরে পাওয়া যায়নি। পরে প্রতিবেশীরা এসে তাকে উদ্ধার করে আমতলী হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ওই রাতেই তাকে বরিশাল শেরে বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়ে নিয়ে ভর্তি করা হয়। 

এলাকাবাসীর ধারণা, আয়েশা বেগম খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে তার স্বামীকে অচেতন করে পুরুষাঙ্গ কেটে বাড়ি থেকে পালিয়েছেন। ঘটনাস্থলে একটি ধারালো চাকু পাওয়া গেছে বলে জানান তারা।  

তবে আয়েশা বেগম বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমার স্বামীর সঙ্গে তার স্কুলের একটি মেয়ের পরকীয়ার সম্পর্ক রয়েছে। সম্প্রতি ওই মেয়ের অন্যত্র বিয়ে হয়ে গেলেও তাদের পরকীয়ার সম্পর্ক এখনো আছে। এ কারণে আমি সন্তান নিতে চাইলেও সে চায় না। এটা নিয়ে প্রায়ই আমাদের সংসারে কলহ লেগে থাকত। বুধবার রাতে মাহাতাবের সঙ্গে আমার কথা কাটাকাটি হলে সে আমাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এরপর আমি আমার বাপের বাড়ি চলে আসি। 

তালতলী থানার ওসি শেখ শাহিনুর রহমান জানান, লোকমুখে বিষয়টি শুনেছি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবো।