নাগরিকত্ব আইন: ভারতে পুলিশের গুলিতে ১১ জন নিহত

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৭:১৩ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১১৮ বার।

ভারতে বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বিরোধী বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে ৪৮ ঘণ্টায় কমপক্ষে ১১ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অজ্ঞাত সংখ্যক যাদের অনেকেই গুলিবিদ্ধ।

হাসপাতাল সূত্রের বরাত দিয়ে শুক্রবারের বিক্ষোভে নিহতের এই পরিসংখ্যান জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম এই সময়।

পুলিশ নিহতের সংখ্যা ছয়জন বলে দাবি করেছে।

তবে এনডিটিভি নয়জন আর দ্য হিন্দু সাতজন নিহতের কথা জানিয়েছে।

এই সময় জানায়, হাসপাতালগুলো থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, শুধু শুক্রবারের বিক্ষোভে যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে নিহত হয়েছেন ১০ জন। এনিয়ে গত ৪৮ ঘণ্টায় নাগরিকত্ব আইন বিরোধী বিক্ষোভে ১১ জন নিহত হলো।

উত্তরপ্রদেশের পুলিশের ডিজি ওপি সিং দাবি করেছেন, শুক্রবারের বিক্ষোভে একটি গুলিও চালায়নি পুলিশ।

কিন্তু নিহত ও আহতদের অনেকের গায়েই বুলেটের চিহ্ন রয়েছে। গুলিতে আহতদের মধ্যে এমনকি একাধিক পুলিশ সদস্যও রয়েছেন।

নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ আরও এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। নতুন করে ভদোদরা এবং জবলপুরে সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে। উত্তরপ্রদেশের বারাণসী ও লখনউসহ মোট ২১টি জেলায় বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা।

 

বিক্ষোভের জেরে উত্তরপ্রদেশে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মেরঠ। মেরঠ মেডিকেল কলেজেই চারজনের মৃত্যু হয়েছেন। বিজনোর থেকে আরও দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। মুজফফরনগর, ফিরোজাবাদা, সমভাল এবং কানপুর থেকে একজন করে নিহতের খবর পাওয়া গেছে।

সম্প্রতি নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাস করে হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার। এতে বলা হয়েছে- মুসলিম ছাড়া আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ধর্মীয় অত্যাচারের কারণে ভারতে শরণার্থী হিসেবে হিন্দু, পার্সি, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীরা আশ্রয় নিতে বাধ্য হলে তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।

বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন বাতিলের দাবিতে ব্যাপক বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে উঠে ভারত। বিশেষ করে দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠে। পরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে রাজধানী নয়াদিল্লিসহ গোটা ভারতে।