হত্যার উদ্দেশ্যেই আলো নিভিয়ে নুরদের ওপর হামলা: ঐক্যফ্রন্ট

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৯:৪৪ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১১০ বার।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহসভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরুসহ ডাকসু ভবনে অর্ধশত ছাত্র নেতৃবৃন্দের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

সোমবার দুপুরে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট স্টিয়ারিং কমিটির সভা শেষে বলা হয়, তাদেরকে হত্যার জন্য পরিকল্পিতভাবে ডাকসু ভবনে আলো নিভিয়ে বর্বরোচিত নির্মম হামলা চালানো হয়।

লিখিত বক্তব্যে ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘বছরের শেষে একদলীয় শাসনের পূর্ণ ক্ষমতা ব্যবহার করে ছাত্রসমাজের ওপর মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ ও ছাত্রলীগের হামলার নিন্দা জানাই।’

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নামধারী ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের হামলায় ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরু, ছাত্রনেতা এবিএম সোহেল, হাসান আল মামুন ও রাশেদ খান ফারুকসহ অর্ধশতাধিক ছাত্র গুরুতর আহত হয়। কেউ কেউ মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।

‘তাদেরকে হত্যা করার জন্য পরিকল্পিতভাবে ডাকসু ভবনের আলো নিভিয়ে বর্বরোচিত নির্মম হামলা চালায়। তুহিন ফারাবি লাইফ সাপোর্টে আছে। আমরা দেশবাসীকে দ্ব্যর্থহীন  জানাতে চাই- তথাকথিত মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ যে জঘন্য ও বর্বর হামলা করেছে, তা লাখো শহীদের প্রতি চরম অবমাননা’ যোগ করেন ঐক্যফ্রন্ট আহ্বায়ক।

তিনি বলেন, ‘ভোট ডাকাত সরকার টিকে থাকার জন্য একের পর এক ছাত্র-শ্রমিক-জনতার ওপর এ রূপ পৈশাচিক ঘটনা ঘটাচ্ছে। এই গণবিরোধী ফ্যাসিস্ট সরকারের হাত থেকে দেশকে বাঁচানোর জন্য ঐক্যফ্রন্ট মনে করে দলমত-নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধভাবে তাদেরকে প্রতিহত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা অপরিহার্য।’

নুরুসহ ছাত্রদের ওপর হামলার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চান কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল বলেন, ‘সংবিধানেই বলা আছে- এ ধরনের ঘটনা ঘটলে বিচার বিভাগীয় তদন্ত হওয়ার কথা।’

এ সময় জেএসডি সভাপতি আ স ম রব বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগকে নতুন দায়িত্ব দেওয়ার পর আবরারকে হত্যা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের পর নতুন নেতৃত্ব আসার পর নুরুকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করে। এটা আওয়ামী লীগের চরিত্র।’

দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা আজ জরুরি বৈঠকে বসেছি। সকল নেতৃবৃন্দ আসতে পারেনি। পরবর্তীতে আমরা আবার বৈঠক করে আপনাদের বিস্তারিত জানাব।’

বৈঠকে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণফোরাম নেতা অধ্যাপক আবু সাঈদ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট মহসীন রশিদ, দপ্তর প্রধান জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।