রোহিঙ্গা নিপীড়ন: মিয়ানমারের নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘের প্রস্তাব

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৭:০১ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৬৬ বার।

রোহিঙ্গা মুসলমান ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় মিয়ানমারের নিন্দা জানিয়ে একটি প্রস্তাব পাস করেছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ। শুক্রবার সংস্থাটির ১৯৩টি সদস্য দেশের মধ্যে ১৩৪টি দেশ প্রস্তাব পাসের পক্ষে ও ৯টি দেশ বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। এছাড়া ভোটদানে বিরত রয়েছে ২৮টি দেশ।-খবর গার্ডিয়ানের

২০১৭ সালের অগাস্টে রোহিঙ্গাদের ওপর ধরপাকড়, নিপীড়ন, ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ড শুরু হলে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে এ যাবৎ তিনটি প্রস্তাব পাস হল জাতিসংঘে।

রাখাইন, কাচিন ও শান রাজ্যে রোহিঙ্গাসহ অন্যান্য সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ঘৃণা উসকে দেয়ার লড়াইয়ে জরুরি পদক্ষেপ নিতে মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে প্রস্তাবে।

সাধারণ পরিষদের প্রস্তাব কোনো দেশ মেনে চলতে আইনগত বাধ্য না হলেও এতে বৈশ্বিক মতামতের প্রতিফলন ঘটে। গত ১৪ নভেম্বর জাতিসংঘের থার্ড কমিটিতে অধিকাংশ সদস্য রাষ্ট্রের সমর্থনে এই প্রস্তাবটি অনুমোদন পেয়েছিল।

এই প্রস্তাব পাসের মধ্য দিয়ে রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধানে আন্তর্জাতিক মহলের সার্বিক সমর্থনের ব্যাপারটি পুনরায় দৃশ্যমান হলো বলে কূটনীতিকরা মনে করছেন।

একই অধিবেশনে মিয়ানমার পরিস্থিতির বিষয়ে স্বাধীন তদন্ত প্রক্রিয়া পরিচালনা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে অর্থ মঞ্জুরির সর্বসম্মত একটি সিদ্ধান্তও হয়েছে।

২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিল স্বাধীন তথ্য-অনুসন্ধানী মিশন তৈরি করেছে।

রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালতে বিচারও চলছে। এর শুনানি শেষ হয়েছে, এখন রায়ের অপেক্ষা।

নেদাল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) এই বিচারের মধ্যে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে নতুন প্রস্তাব পাস গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।

মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের বাঙালি হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে। যদিও কয়েক প্রজন্ম ধরে তারা দেশটিতে বসবাস করছেন। ১৯৮২ সালে তাদের নাগরিকত্ব প্রত্যাখ্যান করেছে বৌদ্ধসংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটি। এরপর থেকে রোহিঙ্গারা মূলত রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়েছেন।

জাতিসংঘে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত হাউ ডু সুয়ান বলেন, মিয়ানমারের বিরুদ্ধে অবাঞ্ছিত রাজনৈতিক চাপ প্রয়োগ করতে বৈষম্যমূলকভাবে একটি পক্ষকে নিশানা করে মানবাধিকার নীতিমালা প্রয়োগের একটি উৎকৃষ্ট উদহারণ এই প্রস্তাব।

এতে রাখাইন রাজ্যের জটিল পরিস্থিতির কোনো সমাধান আসবে না বলেও তিনি মন্তব্য করেন।