গ্রেফতার ২৯জনকে কারাগারে প্রেরণ

বগুড়ায় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ৬৭৫জনের বিরুদ্ধে মামলা

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ০২ জানুয়ারী ২০২০ ১২:০৩ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২২৬ বার।

বগুড়ায় পুলিশের ওপর ঘটনায় ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের ৬৭৫ নেতা-কর্মীকে আসামী করে মামলা করেছে পুলিশ। বগুড়া সদর ফাঁড়ির সাব ইন্সপেক্টর জিলালুর রহমান বাদী হয়ে বুধবার রাতে সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় হামলাকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশের রাইফেলের ট্রিগার গার্ড ছিনিয়ের নেওয়া অভিযোগ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টা এবং সরকারি কাজে বাধাদানের অভিযোগ আনা হয়েছে।


মামলার এজাহারে ৭৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অন্যদের অজ্ঞাতনামা দেখানো হয়েছে। তবে এজারে উল্লেখিত আসামীদের মধ্যে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত ২৯জনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বগুড়া সদর থানার ওসি এস এম বদিউজ্জামান জানান, অন্য আসামীদের গ্রেফতারে তাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে ছাত্রদল বগুড়া জেলা কমিটির সভাপতি আবু হাসান পুলিশের দায়ের করা মামলাকে ভিত্তিহীন দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে কারাগারে আটক রয়েছেন এবং সরকারি চাকরি করছেন এমন ব্যক্তিদেরও আসামী করা হয়েছে। যা থেকে মামলার অভিযোগগুলো সত্য নয় বলেই প্রমাণ হয়।’


গত ১ জানুয়ারি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সমাবেশে যোগ দিতে আসা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা দুপুরে শহরের শহীদ খোকন পার্কে জমায়েত হয়। পরে তারা জুতা-স্যান্ডেল পায়ে শহীদ মিনারের বেদিতে উঠে পড়ে। এ সময় তাদের নামিয়ে দিতে গেলে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তীসহ ৫ সদস্য আহত হয়। তাদের মধ্যে পারভেজ নামে এক কনস্টেবলের মাথা ফেটে যায়। তাকে বগুড়ার ২৫০ শয্যা মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই ঘটনার পর পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ১১জনকে আটক করে। পরে আরও ১৮জনকে আটক করে সকলকে গ্রেফতার দেখানো হয়।


মামলার এজাহারে স্বেচ্ছাসেবক দল বগুড়া জেলা কমিটির আহবায়ক মাজেদুর রহমান জুয়েল, জেলা যুবদলের আহবায়ক খাদেমুল ইসলাম ও স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলমকে হামলার নির্দেশদাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে ওই তিনজনের নির্দেশে ছাত্রদল বগুড়া জেলা কমিটির সভাপতি আবু হাসান ও সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী রিগ্যানসহ অন্যরা পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে।