বগুড়ার কাহালুতে শিবগঞ্জের কাঠমিস্ত্রি খুন

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ০৩ জানুয়ারী ২০২০ ১০:০২ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৪৭৫ বার।

বগুড়ার কাহালুতে আলম (২৫) নামে এক ব্যক্তিকে শ্বাসরোধ করার পর ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে উপজেলার বীরকেদার ইউনিয়নের জাঙ্গালপাড়া এলাকার মাঠ থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। নিহত আলম পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রি। সে শিবগঞ্জ উপজেলার নলডুবি গ্রামের লালচানের ছেলে।
কাহালু থানার ওসি জিয়া লতিফুল ইসলাম জানান, ধারণা করা হচ্ছে বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ি ফেরার সময় তাকে হত্যা করা হয়। তবে হত্যাকাণ্ডের মোটিভ এবং কারা জড়িত সে সম্পর্কে তারা এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি। অবশ্য কাহালুর বীরকেদার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সেলিম উদ্দিন জানিয়েছেন দুর্বৃত্তরা আলমকে আটকে মুক্তিপণ দাবি করেছিল। তার ধারণা চাহিদা অনুযায়ী মুক্তিপণের টাকা না পাওয়ায় তাকে হত্যা করা হতে পারে। ময়না তদন্তের জন্য লাশ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠনো হয়েছে।
কাহালুর বীরকেদার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম উদ্দিন জানান, কাঠমিস্ত্রি আলম শিবগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা হলেও সে কয়েক কিলোমিটার দূরে দুপচাঁচিয়া উপজেলা সদরে একটি ফার্ণিচারের দোকানে কাজ করতো। প্রতিদিন সকালে বাড়ি থেকে বাই-সাইকেল নিয়ে কাহালু উপজেলা সীমানার ভেতর দিয়ে দুপচাঁচিয়া যেত আবার সন্ধ্যার পর কাজ শেষে একই সড়ক দিয়ে বাড়ি ফিরতো। তিনি বলেন, আলম প্রতিদিনকার মত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর বাই-সাইকেল নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়। কাহালুর বারো মাইল হয়ে কর্ণিপাড়া এলাকা অতিক্রম করার সময় রাত ঘনিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা তার গতিরোধ করে এবং মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিবারের সদস্যদের কাছে মুক্তিপণ দাবি করা হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে বিকাশে ৩ হাজার টাকাও পাঠানো হয়। এরপর রাতের কোন এক সময় তাকে শ্বাসরোধ করার পর বুকে ও পিঠে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। শুক্রবার সকালে লোকজন আলমের লাশ পড়ে থাকতে দেখে আমাকে খবর দিলে আমি পুলিশকে জানাই।
কাহালু থানার ওসি জিয়া লতিফুল ইসলাম জানান, খবর পাওয়ার পর পরই পুলিশ সকাল ৯টার দিকে লাশ উদ্ধার করে। আলমে মুক্তিপণের জন্য অপহরণ এবং টাকা না পেয়ে হত্যা করা হয়েছে এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আলমের বাড়ি শিবগঞ্জ থানা এলাকায় আর সে কাজ করতো দুপচাঁচিয়ায় থানা এলাকায়। তাকে খুন করা হয়েছে আমাদের থানা এলাকার ভেতরে। তাই তার সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য আমাদের কাছে নেই। আমরা তদন্ত শুরু করেছি। আশাকরি সবকিছু জানা যাবে।’