শেরপুরে নাচের শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ

শেরপুর উপজেলা (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০১৮ ১৩:৫৫ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২২৮ বার।

নাচের শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বগুড়ার শেরপুর উপজেলায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী বাদি হয়ে  বুধবার সন্ধ্যায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযুক্ত ওই নাচের শিক্ষকের নাম  সাদ্দাম হোসেন প্রিন্স। তিনি শেরপুর শহরের ঝংকার ললিতকলা একাডেমির পরিচালক। থানায় দায়ের করা অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের ভান্ডার কাফুরা উত্তরপাড়া গ্রামের গোলাম রব্বানীর ছেলে সাদ্দাম হোসেন প্রিন্স শহরের বাঁশপট্টি এলাকায় অবস্থিত মুন ইরাফী গার্ডেন সিটি বিপণি বিতানের একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে ঝংকার ললিতকলা একাডেমী নামে একটি নাচের স্কুল চালু করেন। সেখানে তরুণ-তরুণীদের নাচ শিখিয়ে আসছেন তিনি। এদিকে নাচ শেখার জন্য ভর্তি হন উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের বনমরিচা গ্রামের এক কলেজ ছাত্রী। প্রতিদিনের ন্যায় গেল এক সপ্তাহ আগে ওই ছাত্রী নাচ শেখার জন্য তার প্রতিষ্ঠানে আসেন। এসময় একাডেমীর কক্ষে কোন ছাত্রী ছিল না। আর এই সুযোগ নিয়ে কক্ষের দরজা-জানালা বন্ধ করে দেন শিক্ষক সাদ্দাম হোসেন প্রিন্স। একপর্যায়ে ওই ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এমনকি পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তা ভিডিও ধারণ করেন লম্পট সাদ্দাম হোসেন। পাশাপাশি ঘটনাটি প্রকাশ করলে অশ্লীল ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি-ধামকিও দেয়া হয়। ফলে আইনের আশ্রয় নেয়া থেকে বিরত থাকেন ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী। কিন্তু এরপরও গত তিন-চারদিন আগে সাদ্দাম হোসেন প্রিন্স ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়। একপর্যায়ে ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হলে গতকাল সন্ধ্যায় থানায় অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী এই ছাত্রী। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শেরপুর থানার ওসি হুমায়ুন কবীর অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অভিযোগটি তদন্ত সাপেক্ষে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদিকে অভিযুক্ত নাচের শিক্ষক সাদ্দাম হোসেন প্রিন্সের বক্তব্য জানতে তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু থানায় অভিযোগ দায়েরের পর থেকেই  তিনি পলাতক রয়েছেন। এছাড়া প্রিন্সের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।