‘নো মোর মার্সি টু রেপিস্ট’ স্লোগানে উত্তাল ঢাবি

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ জানুয়ারী ২০২০ ১০:৫৭ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৫৭ বার।

রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের পাশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের প্রতিবাদে উত্তাল ক্যাম্পাস। খবর যুগান্তর অনলাইন

সহপাঠীকে ধর্ষণের নিন্দা ও বিচার দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাদের ‘নো মোর মার্সি টু রেপিস্ট’ (ধর্ষকদের আর ক্ষমা নয়) স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস।

রোবরাত রাতে ওই ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হওয়ার খবর ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়ে। রাতেই রাজপথে নামে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ ও ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে আলাদা আলাদা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়।

সোমবার সকাল থেকে শিক্ষার্থীর ঢাবির রাজু ভাস্কর্যের সামনে অবস্থান নিয়ে সহপাঠীর ধর্ষণের বিচার দাবি জানান। তারা ক্যাম্পাসে প্রবেশের সব সড়কের মুখে ব্যারিকেড দেয়। ফলে ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। শাহবাগ চত্বর অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে।

এ সময় শিক্ষার্থী ‘বঙ্গবন্ধুর সৈনিকেরা গর্জে ওঠো আরেকবার’, ‘বিচার চাবো একসাথে ধর্ষকদের বিরুদ্ধে’, ‘বিবেক এবার ঘোমটা খোলো’, ‘নো মোর মার্সি টু রেপিস্ট (ধর্ষকদের ক্ষমা নয়)’, ইত্যাদি লেখা প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন। নো মোর মার্সি টু রেপিস্ট স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস।

প্রসঙ্গত, রাজধানীর কুর্মিটোলায় বান্ধবীর বাসায় যেতে বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে ওঠেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রী। বাস থেকে কুর্মিটোলা এলাকায় নামার পর অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি তার মুখ চেপে ধরে। এতে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। এরপর তাকে ধর্ষণ করা হয়। রাত ১০টার দিকে চেতনা ফেরার পর তিনি সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে বান্ধবীর বাসায় যান। বান্ধবীকে ঘটনা জানান। এরপর সহপাঠীরা তাকে আবাসিক হলে নিয়ে আসেন। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নেয়া হয়।

রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক হাসপাতালে তাকে যান। তারা নিপীড়নের শিকার ওই ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলেন।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ওই ছাত্রী বিবিসিকে বলেন, রোববার সন্ধ্যায় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে চড়ে বান্ধবীর বাসায় যাচ্ছিলেন। উদ্দেশ্য একসঙ্গে পরীক্ষার প্রস্তুতি নেবেন।

সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি কুর্মিটোলা এলাকায় বাস থেকে নামেন। সেখান থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তি তার মুখ চেপে ধরে পাশের একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। এরপর তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।

নির্যাতনের একপর্যায়ে জ্ঞান ফিরে পান ওই ছাত্রী। পরে পাশবিক নির্যাতনে আবারও জ্ঞান হারান।

রাত ১০টার দিকে জ্ঞান ফেরে ওই ছাত্রীর। তিনি তার বান্ধবীর সঙ্গে যোগাযোগ করে ক্যাম্পাসে যান। পরে তার বন্ধুরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।