প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে জাতি হতাশ ও ক্ষুব্ধ: ফখরুল

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ জানুয়ারী ২০২০ ০৭:১২ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৫৭ বার।

বর্তমান সংসদের এক বছর পূর্তিতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণের প্রতিক্রিয়া জানালেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে জাতি হতাশ ও ক্ষুব্ধ হয়েছে। খবর দেশ রুপান্তর অনলাইন

বুধবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এই কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, “প্রধানমন্ত্রী যেই ভাষণ দিয়েছেন তাতে জাতি হতাশ ও ক্ষুব্ধ হয়েছে। বর্তমান বাংলাদেশের রাজনীতিতে অর্থনীতি হচ্ছে প্রধান সংকট। এটা হচ্ছে পুরোপুরিভাবে রাজনৈতিক সংকট।”

“এ সরকার একটি অনির্বাচিত সরকার ক্ষমতা দখল করে বসে আছে। এমন একটি নির্বাচন হয়েছে যেটা ৩০ তারিখে হয়নি ২৯ ডিসেম্বর রাতেই ভোট ডাকাতি হয়েছে। সেই হিসেবে জাতির একটি প্রত্যাশা ছিল সংকট নিরসনের একটি পথ তার বক্তব্যের মধ্যে থাকবে। এ নির্বাচন বাতিল করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি নির্বাচনের কথা বা এমন কেন ইঙ্গিত দেবেন অথবা কোন একটা সংলাপের কথা বলবেন কিন্তু কেনটাই তিনি করেননি। এই সংকট নিরসনের জন্য তিনি কোন পথ দেখাননি”. বলেন মির্জা ফখরুল।

সঙ্গে যোগ করেন, “যেই বক্তব্যগুলো রেখেছেন যা সত্য নয়, যেমন তিনি বলেছেন, ‘৭৫ এর পরে বছরগুলোতে মানুষ জরাজীর্ণ ছিল, মানুষের কঙ্কাল দেহ ছিল’- এ কথাগুলো চরম উল্টো। তার আগে ৭২-৭৫ সাল এ দেশে একটি চরম দুর্ভিক্ষ হয়েছিল তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার আমলে, তাদের দুঃশাসনের কারণে।”

বিএনপি মহাসচিব বলেন, “৭৫ এর পরে জিয়াউর রহমানের যোগ্য নেতৃত্বে এ দেশে পরিবর্তন ঘটে। আজকে বাংলাদেশে যে অর্থনৈতিক ভিত্তি এটার রচনা করেন জিয়াউর রহমান। এর মধ্যে জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেন। মানুষের মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দেন। যার মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। আর অর্থনীতির যে ভিত্তি গড়ে তোলেন মুক্তবাজার অর্থনীতি। বিদেশের কাছে উন্মুক্ত হাওয়া রপ্তানি বাড়ানো।  সবচেয়ে বেশি গার্মেন্টস সেক্টর গুলোতে যার মাধ্যমে আমরা টিকে আছি এবং রেমিট্যান্স এই জিনিসগুলো জিয়াউর রহমান শুরু করেন। এ বিষয়গুলো তিনি বক্তৃতায় তুলে ধরেননি।”

ফখরুল বলেন, “আরেকটি বিষয় হচ্ছে দোষারোপ করা হয়েছে শুধু বিএনপিকে যে বিএনপি সন্ত্রাস করেছে। ভুলে গেছেন ওনারা যে ১৭৩ দিন হরতাল করেছেন। কেয়ারটেকার সরকারের দাবিতে এবং সেই সময় বাসে ১১ ব্যক্তিকে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। আর অনেক লোক নিহত হয়েছিল এই আন্দোলনের ফলে। দেশের রাজনীতির যে কালচার ছিল এখনো আছে যেটা সরকার করছেন। তারা হত্যা করেছে তুলে নিয়ে গিয়ে মারছেন, নিখোঁজ হয়ে যাচ্ছে, গুম হয়ে যাচ্ছে।”

তিনি বলেন, “বক্তব্যের মধ্যে আশা রাখতে বলেছেন ভরসা রাখতে বলেছেন। সেই ভরসা মানুষ কোথা থেকে রাখবে? অর্থনীতি চরমভাবে নিচে নেমে গেছে। অর্থনীতির বর্ণনা তিনি দিয়েছেন তা হচ্ছে পুরো উল্টো। ব্যাংকগুলো ভেঙে পড়েছে মানুষ আস্থা রাখবে কোথায়।”