দিশেহারা হতদরিদ্র বাবা দুলাল রবিদাস

বগুড়ায় অর্থাভাবে শিশু প্রভা ও প্রশান্ত’র জীবন প্রদীপ নিভে যাচ্ছে

শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২ জানুয়ারী ২০২০ ১৩:৩৯ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৩১৪ বার।

ফুটফুটে শিশু কন্যা প্রভা। বয়স ১৩ মাস। জন্মের পর থেকেই সে চরম অসুস্থ। চিকিৎসকরা বলেছেন, প্রভার হার্টে ফুটো দেখা দিয়েছে। অপরদিকে প্রভার বড় ভাই ৭ বছর বয়সী প্রশান্ত’র একটি অন্ডকোষ অস্বাভাবিক আকারের বড়। দু’টি শিশুর জীবন রক্ষায় উপযুক্ত চিকিৎসা অত্যন্ত জরুরি।

কিন্তু শিশু দু’টির বাবা হতদরিদ্র দুলাল রবিদাসের পক্ষে জটিল এসব রোগের চিকিৎসা ব্যয় বহন করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে শিশু কন্যা প্রভা ও শিশু পুত্র প্রশান্ত’র জীবন প্রদীপ নিভে যেতে বসেছে। দুলাল রবিদাসের জন্মস্থান বগুড়া জেলার কাহালু উপজেলার হাটুরপাড়া গ্রামে। কিন্তু জীবিকার তাগিদে বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার গন্ডগ্রাম সারিয়াকান্দি পাড়ায় একটি ভাড়া বাড়িতে ১ যুগ ধরে বসবাস করছেন। কলোনী বাজার এলাকায় ফুটপাতে বসে জুতা সেলাইয়ের কাজ করে সংসার পরিচালনা করছেন। স্ত্রী মাধবী রবিদাস একজন গৃহিনী।

মাধবী রবিদাস জানিয়েছেন, তাদের প্রথম সন্তান রুপা রবিদাস। ৬ বছর বয়সে লিভার বড় হয়ে এবং কিডনিতে পানি ধরে মারা গেছে। দ্বিতীয় সন্তান শিশু পুত্র প্রশান্ত রবিদাস। বয়স ৭ বছর। সে গন্ডগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে লেখাপড়া করছে। কিন্তু প্রশান্ত’র শরীরেও ধরা পড়েছে জটিল রোগ। তার দু’টি অন্ডকোষের মধ্যে একটি অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে চলেছে। সেটির অপারেশন জরুরী। সব ছোট সন্তান ফুটফুটে শিশু কন্যা প্রভা রবিদাস। তার বয়স ১৩ মাস। জন্মের পর থেকেই প্রভা’র মুখের আকৃতি অস্বাভাবিক। মাঝে মধ্যেই তার মুখের স্বাভাবিক রঙ পাল্টে নীলাভ হয়ে যাচ্ছিল।

এমতাবস্থায় প্রভা’কে নেয়া হয় রংপুর মেডিকেল কলেজের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. এ.কে বসাকের কাছে । তার চিকিৎসা নেয়ার পর রঙ পাল্টানো বন্ধ হয়েছে। কিন্তু প্রভা’র হার্টে ফুটো ধরা পড়েছে। তাকে ঢাকায় নিয়ে উন্নত চিকিৎসার কথা বলেছেন চিকিৎসক। কিন্তু দরিদ্র পরিবারের পক্ষে শিশু সন্তানদের চিকিৎসা করানো মোটেই সম্ভব হচ্ছে না। তাই ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ খেতাব প্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ  সমাজের দানশীল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে সহায়তার আবেদন জানিয়েছেন অসহায় মা মাধবী রবিদাস (০১৯৮০৭৯৭৯৩৯)।