রাষ্ট্রের টাকা লুট করতেই ইভিএম চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে: রিজভী

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ জানুয়ারী ২০২০ ১৫:১২ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১২৪ বার।

রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকা লুটপাট করতে জনগণের ঘাড়ে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে দাবি করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে বলেন, এখনো সময় আছে, ইভিএমের মাধ্যমে নির্বাচনের পথ থেকে সরে আসুন।

রবিবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।

রিজভী বলেন, শুধু ইভিএমের কারণেই সাড়ে চার বছরের ব্যবধানে খরচ হয়েছে প্রায় ৬৯ কোটি টাকা। ব্যালটের চেয়ে ইভিএমে ভোট গ্রহণে প্রশিক্ষণ খাতেই অন্তত আটগুণ বেশি খরচ দেখানো হচ্ছে। রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকা লুটপাট করতে জনগণের ঘাড়ে ইভিএম চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, সবার আপত্তি সত্ত্বেও আগামী ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারে নির্বাচন কমিশনের তোড়জোড় বেপরোয়া দুর্বৃত্তপনার বর্ধিত প্রকাশ।

রিজভী বলেন, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট কেন্দ্র আড়াই হাজারের মতো। ভোটকক্ষ প্রায় ১৪ হাজার। প্রতিটি কক্ষে একটি করে ইভিএম ব্যবহার করতে চায়। সেই হিসাবে ১৪ হাজার ইভিএমের প্রয়োজন পড়বে। কিন্তু গত ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের (এনআইডি) মহাপরিচালক গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, নির্বাচনে ৩৫ হাজার ইভিএম ব্যবহার করা হবে। অতিরিক্ত ২১ হাজার ইভিএম কোথায় ব্যবহার করা হবে? ইসির বক্তব্য অনুযায়ী ব্যাকআপ হিসেবে ৫০ শতাংশ মেশিন যদি রাখাও হয় তাহলে প্রতি কক্ষের জন্য অতিরিক্তসহ মোট ২১ হাজার ইভিএম লাগার কথা। কিন্তু দেখা যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন আরও ১৪ হাজার ইভিএম অতিরিক্ত প্রস্তুত করে রাখছে। এটি রাখার মূল উদ্দেশ্য হলো ভোটের আগেই ভোটের ফলাফল প্রস্তুত করা। এটি রহস্যজনক।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম প্রমুখ।