নেপথ্যে হাসপাতালের পথ্য সরবরাহের নিয়োগ

বগুড়ার শেরপুরে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার হা-পা ভেঙে দেয়ার হুমকি ঠিকাদারের!

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৫ জানুয়ারী ২০২০ ১৩:২২ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৬৫ বার।

বগুড়ার শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে রোগীদের পথ্য সরবরাহের নিয়োগ না পাওয়ায় স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুল কাদেরকে চাপ প্রয়োগ ও হাত-পা ভেঙে দেয়ার হুমকির অভিযোগ উঠেছে এক ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতা ও ঠিকাদারের অব্যাহত হুমকি-ধামকির মুখে চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে দিনাতিপাত করছেন ওই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। পাশাপাশি জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে শেরপুর থানায় সাধারণ ডায়েরীও (জিডি) করেছেন তিনি। যার নং-৬০৩।

বুধবার (১৫জানুয়ারি) দুপুরে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুল কাদের বলেন, সরকারি এই হাসপাতালে রোগীদের খাবার মান বৃদ্ধিসহ যথাযথ নিয়ম মেনে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে পথ্য সরবরাহের গত ০৬অক্টোবর পত্রিকার মাধ্যমে দরপত্র আহবান করা হয়। সে মোতাবেক বেশ কয়েকজন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান দরপত্র জমা দেন। পরবর্তীতে ২৮অক্টোবর দরপত্র বাক্স খোলা হয়। একইসঙ্গে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে শেখ এন্টারপ্রাইজকে কার্যাদেশ দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। কিন্তু এতে রবিন ট্রেডিং হাউজের সত্ত্বাধিকারী ঠিকাদার রফি নেওয়াজ খান রবিন কাজ না পেয়ে ক্ষিপ্ত হন। এমনকি সব নিয়ম ভেঙে তার প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিতে মারাত্মক চাপ প্রয়োগ করছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আব্দুল কাদের অভিযোগ করে বলেন, ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতা ও ঠিকাদার রবিনকে হাসপাতালের পথ্য সরবরাহের ঠিকাদার নিয়োগ না দিলে তার ওপর অতর্কিতভাবে হামলা করা হবে। পাশাপাশি তার হাত-পা ভেঙে দেয়া হবে বলেও ওই ঠিকাদার অব্যাহতভাবে মোবাইল ফোনে হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ঠিকাদার রফি নেওয়াজ খান রবিন বলেন, ওই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তার কাছে অনৈতিক সুবিধা দাবি করে বসেন। এনিয়ে উভয়ের মধ্যে একটু-আধটু বাকবিতণ্ডা হয়েছে মাত্র। এছাড়া হুমকি-ধামকির কোন ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেন তিনি। 

শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির উক্ত ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরী নেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. লিয়াকত আলী সেখ এ প্রসঙ্গে বলেন, ঘটনাটি অত্যান্ত দুঃখজনক। এ ধরণের ঘটনা কোনভাবেই কাম্য নয়। তিনি বিষয়টি জানার পরপরই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন বলে দাবি করেন এই কর্মকর্তা।